মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এখন পর্যন্ত অনুপ্রবেশকারী বলে জানিয়েছেন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল। দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় যদি দেখা যায় বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি, তখন তাদের শরণার্থী ভাবার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি। রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে কি না, এ রকম প্রশ্নের উত্তরে আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সচিব এ কথা জানান।
মিয়ানমার থেকে আসার পর বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিচ্ছে, তাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল আরও বলেন, তাদের শুধু জন্মনিবন্ধন করা হচ্ছে। সেখানে লেখা হচ্ছে, তারা মিয়ানমারের নাগরিক।
সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউনএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি সাক্ষাৎ করেন। এরপর সাংবাদিকদের ত্রাণমন্ত্রী বলেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন হয়ে গেলে নোয়াখালীর ভাসানচরে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের যেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে অভ্যন্তরীণ রাস্তা তৈরি করার জন্য ইউএনএইচসিআর ৩৫ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছে। সরকার আশা করছে, আগামীকালের মধ্যে এই টাকা পেয়ে যাবে। রাস্তা তৈরির কাজ সেনাবাহিনী করবে।
ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment