Skip to main content

Posts

মাহমুদউল্লাহর মতো ছক্কা মেরে জিতিয়েছিলেন যাঁরা

বেঙ্গালুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচ মনে আছে? প্রথমে মুশফিক, পরে মাহমুদউল্লাহ জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করেছিলেন। জয় থেকে ২ বলে মাত্র ২ রানের দূরত্বে থাকা অবস্থায় ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পারেননি। বেঙ্গালুরুর সেই খেদটা তিনি দুই বছর পর মেটালেন প্রেমাদাসায়। ২ বলে ৬ রানের দূরত্ব মেটালেন দুর্দান্ত এক ছক্কায়! বেঙ্গালুরুর ম্যাচে সেই পরিস্থিতি থেকে প্রেমাদাসার পরিস্থিতি অনেক বেশি কঠিন ছিল। অনেক বেশি স্নায়ুক্ষয়ীও। মাহমুদউল্লাহ এই স্নায়ুর চাপ সয়ে জয় এনে দিয়েছেন দলকে। ক্রিকেটের ইতিহাসে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে এভাবে ছক্কা মেরে জয় তুলে নেওয়ার সংখ্যা একেবারে কম নয়। আসুন ফিরে দেখি এমন কয়েকটি ম্যাচের চিত্রনাট্য: মুশফিকুর রহিম (মিরপুর, ২০১১) ২০১১ সাল। বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ড্যারেন স্যামির ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৩২ রান তুলেছিল ক্যারিবীয়রা। জবাবে জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে ৬ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। রবি রামপলের করা শেষ ওভারের প্রথম ৪ বল থেকে এসেছিল ২ রান, এর মাঝে ফিরে গেছেন নাসির হোসেন। শেষ ২ বলে চাই ৪ রান। এই চা...

নাগিন নাচের জন্ম যাঁর হাত ধরে

প্রেমাদাসার মাঠ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সবখানেই চলছে ‘নাগিন নাচ’! কাল রাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই জয়ের পর মাঠেই নাগিন নাচ নেচেছেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় থেকে টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকে। খেলোয়াড়দের এই নাচ সংক্রমিত হয়েছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যেও। যে যাঁর মতো করে নাগিন নাচের ছবি পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনকি এই নাচ বিশ্ব মিডিয়ার নজরেও পড়েছে। কিন্তু এই ‘নাগিন নাচ’-এর জনক কে? এই নাচ নেচে মুশফিকুর রহিম ‘বিখ্যাত’ হলেও এটি আসলে নাজমুল ইসলামের আবিষ্কার। নাজমুল কাল বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন। কিন্তু কোনো একটা কারণে তাঁকে বোলিং দেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফিল্ডিংয়ের সময় বেশ কয়েকবারই তাঁর কাছে বল গিয়েছিল। ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পাননি, তবে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাড-ট্যাড পরে অপেক্ষাতেই ছিলেন। ২০১৬ বিপিএলে এই নাচ নেচে সবার দৃষ্টি কাড়েন নাজমুল। সর্বশেষ বিপিএলে এই ‘নাগিন নাচ’ মোটামুটি বিখ্যাত বানিয়ে দেন তিনি। উইকেট পেলেই মাথার ওপর হাত তুলে সাপের ভঙ্গিতে এঁকেবেঁকে নাজমুলের সেই উদ্‌যাপনের ভঙ্গিই ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দলে। গত বিপিএলেই সংবাদকর্মীরা নাজমুল...

বাংলাদেশ দলকে অমিতাভের শ্রদ্ধা

ক্রিকেটের প্রতি অমিতাভ বচ্চনের ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। পৃথিবীর যে প্রান্তেই তাঁর দেশ খেলুক না কেন, শত ব্যস্ততার মধ্যেও সেই খেলা উপভোগের চেষ্টা করেন ‘বিগ বি’। তাঁর ক্রিকেটপ্রেম ফুটে ওঠে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও। তিনি খেলা নিয়ে মন্তব্য করেন। ভালো খেলাকে অভিনন্দিত করেন আন্তরিকতার সঙ্গেই। গতকাল নিদাহাস ট্রফিতে ভারতের খেলা ছিল না। তারা আগেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। গতকাল ফাইনালে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে প্রেমাদাসায় লড়ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টের অঘোষিত ‘সেমিফাইনাল’ হয়ে ওঠা এই ম্যাচে কত নাটকীয় ঘটনাই না ঘটল। খেলোয়াড়েরা মাথা গরম করলেন, একে অন্যের সঙ্গে লিপ্ত হলেন বচসায়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ম্যাচ বয়কটের ডাকও দিলেন। শেষতক ম্যাচ বয়কটের মতো বাজে ঘটনা না ঘটলেও এক বল বাকি থাকতে শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াই বাংলাদেশ জিতে নিল মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ এক ছক্কায়। অমিতাভ বচ্চন খেলাটি উপভোগ করেছেন প্রাণভরেই। ম্যাচ শেষ টুইটারে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। ম্যাচটির যে তিনি দারুণ উপভোগ করেছেন, সেটি ফুটে উঠেছে তাঁর টুইটেই, ‘ত্রিদেশীয় সি...

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমেও এই জয় ‘শ্বাসরুদ্ধকর’

আগে একটা সময় ছিল, যখন কোনো ম্যাচ জিতলেই বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমের ‘প্রশংসাবাণী’ শোনার আগ্রহ থাকত। সেই দিন গত হয়েছে বেশ আগেই। সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের জয় এখন এতটাই স্বাভাবিক বিষয় যে তাতে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কী লেখা হলো, তা নিয়ে আগ্রহী হওয়ার খুব বেশি মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু কাল রাতের অবিস্মরণীয় জয়টা সেই আগ্রহটা আবারও ফিরিয়ে আনল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই জয় নিঃসন্দেহে শ্বাসরুদ্ধকর, রোমাঞ্চকর। কিন্তু ম্যাচটা ছিল বারুদে ঠাসা, পরতে পরতে ছিল আগুনের উত্তাপ। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মাঠের মধ্যেই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। পারলে বেরিয়ে আসেন আরকি! প্রায় ম্যাচ বয়কটের পরিস্থিতি। জয়ের পর ড্রেসিংরুমের কাচ ভাঙার খবরও এসেছে। তাই এই জয়কে বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যম কোন চোখে দেখে, সেই আগ্রহ তো থাকতেই পারে! টাইমস অব ইন্ডিয়া ভারতের বহুল প্রচারিত ও প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম। তারা বাংলাদেশের এই জয়কে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ বলেছে। শেষ ওভারে আম্পায়ারের টানা দ্বিতীয় বাউন্সারকে ‘নো বল’ দেখাননি মূল আম্পায়ার। অথচ লেগ আম্পায়ার কিন্তু ‘নো বল’ দেখানোর ইঙ্গি...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...

রাজত্ব সঁপে দেওয়ার দিনেই রাজা মাহমুদউল্লাহ!

মানুষটা অন্তর্মুখী স্বভাবের। প্রচারের আলোয় আসেন কম। এক মনে নিজের দায়িত্ব ঠিকই পালন করে যান। দলে অন্যদের তারকাখ্যাতির কাছে তিনি বরাবরই পার্শ্বনায়ক। কিন্তু দলের রাজত্ব সঁপে দেওয়ার দিনে রাজা! আজকের কথাই ধরুন। উইকেটে যখন এলেন জয় থেকে ৩০ বলে ৫০ রানের দূরত্বে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে এই লক্ষ্যটা নেমে আসে ৬ বলে ১২ রানে। উদানা পর পর দুই বাউন্সার দিলেও একটিও ওয়াইড দেননি আম্পায়ার। আম্পায়ারের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়লেন মাহমুদউল্লাহ। ড্রেসিং রুম থেকেও নেমে এলেন দলের বাকি খেলোয়াড়েরা। ম্যাচ বয়কটের পরিস্থিতি আরকি। শেষ পর্যন্ত তা না হলেও ওই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখাই অনেক কঠিন ব্যাপার। তার ওপর লক্ষ্যটা আরও কঠিন—৪ বলে ১২। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়ে এই লক্ষ্যটা পূরণ হলো ১ বল হাতে রেখেই। আরও একবার প্রমাণ হলো, দলের জয় ছিনতাই হওয়ার পরিস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহই প্রকৃত নায়ক, যিনি প্রায় হারাতে বসা রাজত্ব ফিরিয়ে আনতে জানেন। বাংলাদেশ দলের এই মুখচোরা ক্রিকেটারের ‘ত্রাণকর্তা’ হয়ে দাঁড়ানোর অভ্যাসটা বেশ পুরোনো। ২০১০ আইডিয়া কাপেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সেই আসরে কোনো ম্যাচ জিততে না পারলেও দলের শেষ তিন...

নাটকীয় জয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

এভাবে কেন জিতল বাংলাদেশ? কারণ, এমন জয় না হলে মনে ঠিক দাগ রেখে যায় না। উত্তেজনায় যদি হাত-পাই না কাঁপল, তবে আর সে জয়ের মূল্য কী! এ কারণেই শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর ঠান্ডা মাথা বাংলাদেশকে এনে দিল আরেকটি স্মরণীয় জয়। ২ উইকেটের জয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ। জয়ের পথে হয়তো ছুটছিল না, কিন্তু ঠিকই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। ১২ ওভার শেষেও প্রয়োজনীয় রান রেট থেকে পিছিয়ে পড়েনি বাংলাদেশ, হাতে ৮ উইকেট। এ ম্যাচে নিরঙ্কুশ ফেবারিট তো বাংলাদেশ! কিন্তু কীভাবে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে হয় সেটাই দেখিয়ে দিলেন তামিম-মুশফিকেরা। মাত্র ১৫ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৯৭ রান থেকে হঠাৎ করেই ৫ উইকেটে ১০৯ বাংলাদেশ। অথচ ১২ ওভার পর্যন্ত শুধু সুখবরই ঘোরাঘুরি করছিল বাংলাদেশ দলের চারপাশে। মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার ছুঁয়েছেন মুশফিক। অপর প্রান্তে এই মাইল ফলকে সবার আগে পৌঁছা তামিম। ১২ ওভার শেষে দলের স্কোর ২ উইকেটে ৯৫। ইনিংসের ওই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৬৮ রান। ২৭ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ তো জয়ের আশা করতেই পারে। কভার দিয়ে ত...