ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি ছুঁলেন। উইকেটে সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ উচ্ছ্বাসে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুঁড়লেন বাতাসে, অথচ সাকিব আল হাসান নিজে নির্বিকার। মাইলফলকের উদযাপন নেই। হেলমেট খোলা বহুদূর, ব্যাট উঁচিয়ে ধরার প্রচলিত রীতির ধারও ধারলেন না। কেন? নিজের কাছে সাকিবের চাওয়া ছিল আরও বেশি কিছু!
সাকিব চেয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত থাকতে। খেলা শেষ করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরতে। দৃষ্টি পথের শেষে ছিল বলেই ব্যক্তিগত অর্জনটা উদযাপন করেননি।
“সেঞ্চুরি তো ব্যক্তিগত অর্জন। দলকে জেতানোই সবসময়ই বড়। ৮০ রান থেকেই মনে হচ্ছিলো শেষ করে ফিরতে হবে। তামিম সবসময় বলে, জীবনে শেষ করে আসতে পারলি না। এবার ইচ্ছে ছিল শেষ করব। আজকেও হলো না। হয়ত অন্য ম্যাচের জন্য তোলা থাকল। দেখা যাক…।”
দলের জয় থেকে ৯ রান দূরে আউট হন সাকিব ১১৪ রানে। ট্রেন্ট বোল্টকে জায়গা বানিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড। অথচ বলটি তার মারার ইচ্ছেই ছিল না।
“ক্রিকেটের কথা আসলে বলা যায় না। শেষ করে ফিরতে পারলে ভালো লাগত। ওই সময় ওই বলটা মারার ইচ্ছে ছিল না। চিন্তা করছিলাম যদি মারি তাহলে রিয়াদ ভাইয়ের সেঞ্চুরি হবে না। ভেবেছিলাম সিঙ্গেল নেব। কিন্তু বল দেখে কী মনে করে মেরে দিলাম। মারার মুডেই থাকলে হয়তো আউট হতাম না…।”
বলতে বলতেই হাসেন সাকিব। সান্ত্বনা খুঁজতে চাইলেন যেন দার্শনিক হয়ে, “ঠিক আছে, যা পেলাম, তাই ভালো। আর কী!”
তবে কি আক্ষেপ থেকে গেল একটু? ছিল তো বটেই। তবে তার ধাতে তো দুর্বলতা বলে কিছু নেই। আক্ষেপের কথা শুনেই আবার বেরিয়ে এলো বাস্তবের সাকিব, “নাহ, জীবনে আফসোস নাই
Comments
Post a Comment