শুরুর চার ব্যাটম্যানকে হারিয়ে কাঁপছে দল। মাহমুদউল্লাহ তবু ঠিক করেছিলেন, গিয়েই হানবেন পাল্টা আক্রমণ! সেই মানসিকতাই এনে দিয়েছে জয়। দূর দিগন্ত থেকে যখন দৃ্ষ্টিসীমায় আসতে থাকে জয়, তখন মাহমুদউল্লাহই আবার গিয়ে সাকিব আল হাসানকে বলেছিলেন, ধরতে হবে মুঠোয়
৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর নেমেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সাকিব তখন নিজের মতো খেলছেন। এই সব পরিস্থিতিতে এমনিতে একটু ধরে খেলতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে। এদিন ছিলেন ব্যতিক্রম।
যাওয়ার পরপরই টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন জিমি নিশামকে। চাপটা আলগা হওয়ার পর দারুণভাবে এগিয়ে নিয়েছেন ইনিংস। সাকিবের সঙ্গে গড়েছেন ২২৪ রানের জুটি। অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ফিরেছেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে।
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানালেন, চালিয়ে খেলবেন ঠিক করেই মাঠে গিয়েছিলেন।
“আমার চাওয়া ছিল যে ইতিবাচক থাকব। শট খেলব। প্রথম ১০ ওভার ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। বল মুভ করছিল। সুইং করছিল অনেক। ওদের সেরা দুই বোলার ছিল সাউদি ও বোল্ট। আমি যাওয়ার পর এতটা সুইং ছিল না। এজন্যই আমি ঠিক করেছিলাম ইতিবাচক খেলব। মারার বল পেলে মারব।”
উইকেটে যাওয়ার সময় অবশ্যই জয়ের ভাবনা ছিল না। স্রেফ ইনিংস লম্বা করতে চেয়েছেন। হারের শঙ্কা থেকে যখন উঁকি দিতে শুরু করে জয়ের সম্ভাবনা, তখন মাহমুদউল্লাহ ঠিক করে ফেলেন, এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।
“জেতার কথা তখন চিন্তা করিনি। ভেবেছি ব্যাটিং করতে থাকি। দেখা যাক কোথায় গিয়ে দাঁড়াই। আমি আমার মতো ব্যাট করেছিলাম। সাকিব সাকিবের মতো। যখন আমাদের ১৩৫-১৪০ রানের মতো হয়েছে, তখনই জয়ের কথা মাথায় এসেছে। সাকিবকে গিয়ে বলি এখন আর ছাড়া যাবে না। সুযোগ আছে আমাদের।”
এই সব মুহূর্ত থেকে অনেকবারই সুযোগ হাতছাড়া করেছে দল। কিন্তু এদিন ছিল উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। যেমন ভেবেছেন, তেমন করেছেন দুজন। তাই হাসছে দল, হাসছে বাংলাদেশ।
প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...
Comments
Post a Comment