
ছয় বছর পর আইসিসির আরেকটি ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ২০১১ বিশ্বকাপ সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করল উপমহাদেশের দলগুলো। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গী হবে পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার যেকোনো একটি দল। যার অর্থ উপমহাদেশের অন্তত একটি দল ফাইনালে উঠছেই।
ভারত ছিল অন্যতম ফেবারিট। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনালে ওঠাটা তাই কোনো বিস্ময় হয়ে আসেনি। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকেই ওয়ানডেতে অন্য রকম দল বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা বাংলাদেশ এবার সেমিফাইনালে উঠে ধরে রেখেছে উন্নতির ধারা। অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে ‘বি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে উঠেছে পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কা ম্যাচের বিজয়ী। প্রথম ম্যাচে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শোচনীয় হারের পর এই দুটি দলকে নিয়ে কেউই বাজি ধরার সাহস পায়নি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে উপমহাদেশের দলগুলোর সাফল্যের রহস্য কী? পরশু দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করার পর প্রশ্নটার উত্তর দিতে হলো বিরাট কোহলিকে। ভারতের অধিনায়কের মতে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতাই এগিয়ে দিয়েছে এশীয়দের, ‘কারণটা সম্ভবত আমাদের বেশি বেশি সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলা। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে খেলে খেলে খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা অনেক বেড়েছে।’
শুধু বেশি ম্যাচ খেলাই নয়, কোহলির মতে প্রতিপক্ষকে বিস্মিত করে দেওয়ার ক্ষমতাও আছে উপমহাদেশের দলগুলোর, ‘কিছু কিছু দলের বিস্ময় উপহার দেওয়ার ক্ষমতাটাও সম্ভাব্য একটি কারণ। বিশেষ পরিস্থিতিতে তাঁদের দারুণ ব্যাটিং ও বোলিং প্রতিপক্ষকে অবাক করেছে।’
কোহলি এমনটা বলতেই পারেন। তাঁর দলের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা যেভাবে ৩২১ রান পেরিয়ে সহজেই জিতে গেল সেটি ছিল বিস্ময়কর। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রানের জুটিতে ভর করে বাংলাদেশের জয়টি যেন ছিল আরও বিস্ময়-জাগানিয়া।
তবে কোহলি যেভাবে বললেন, উপমহাদেশের দলগুলো গত দুই বছরে অত বেশি ওয়ানডে কিন্তু খেলেনি। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৩১টি, ভারত ৩০টি, শ্রীলঙ্কা ৪১টি ও পাকিস্তান ৪০টি। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলা দলের তালিকায় শীর্ষ চারে নেই এই চার দলের কেউ। ৪৭ ম্যাচ খেলে যেখানে সবার ওপরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেমিফাইনালের অন্য দল ইংল্যান্ড। অবশ্য গত দুই বছরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা শীর্ষ পাঁচটি দলই এশিয়ার। তথ্যসূত্র: এএফপি, ক্রিকইনফো।
সেমিতে কে কার মুখোমুখি
১ম সেমিফাইনাল
১৪ জুন, কার্ডিফ
ইংল্যান্ড
পাকিস্তান
২য় সেমিফাইনাল
১৫ জুন, এজবাস্টন
বাংলাদেশ
ভারত
১৮ জুন, ওভাল
ফাইনাল
দুটি সেমিফাইনালই শুরু বেলা ৩-৩০ মি.
Comments
Post a Comment