Skip to main content

‘বিশ্বকাপ জেতাবেন’ ডি ভিলিয়ার্স!

ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলারের করমর্দন। পরশু ওভালে l  এবি ডি ভিলিয়ার্সের কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। কোনো ব্যাখ্যা হয়ও না আসলে। আইসিসির টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা বারবার এভাবে কেন ভেঙে পড়ে সেটা বোধ হয় ক্রিকেটের এক চিরকালীন অমীমাংসিত রহস্য হয়ে থেকে যাবে। থেকে যাবে তাদের গায়ে লেগে যাওয়া চোকার নামটাও! 
ক্লিশে এই গল্পের আরও একটা অধ্যায় লেখা হলো পরশু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ভারতের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হারল ৮ উইকেটে। আরও একবার নিদারুণ ব্যর্থতার পর দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সও যেন এর কারণ খুঁজছেন। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা এ টুর্নামেন্টের আগে যা করা যায়, সম্ভাব্য সবকিছুই করেছি। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ক্যাম্পের পর ক্যাম্প করেছি। নেটে অনেক পরিশ্রম করেছি। আমাদের পরস্পরের প্রতি আস্থাও আছে। কিন্তু এরপরও কেন জানি এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।’
১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার এই হতাশার গল্প। বর্ণবাদের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২১ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই রূপকথার ইতিহাস গড়ার পথে ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হঠাৎই বাধা হয়ে আসে বৃষ্টি। বৃষ্টি আইন একসময় হাস্যকর এক সমীকরণ দাঁড় করিয়ে দেয় তাদের সামনে—১ বলে ২২ রান! এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। 
ওটা না হয় স্রেফ দুর্ভাগ্য ছিল। কিন্তু এরপর থেকে এখন পর্যন্ত, আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোয় দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে বিদায় নিয়েছে, তার ব্যাখ্যা কী? মাঝে ১৯৯৮ সালে ঢাকার মিনি বিশ্বকাপ (চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আদি নাম) বাদ দিলে গল্পটা তো কমবেশি একই রকম। 
১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রায়ান লারার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির কাছে হার, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ল্যান্স ক্লুজনার আর অ্যালান ডোনান্ডের ভুল-বোঝাবুঝিতে রানআউট, ২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ধস, ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ-লুইসের হিসাবে ভুল করে শেষ বলে ইচ্ছাকৃত রান না নেওয়া—এ রকম কত অবিশ্বাস্য গল্প! অবস্থা এমন হয়ে গেছে, আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে বাজি ধরার লোকও কমে যাচ্ছে দিন দিন।
তবে এত কিছুর পরও হাল ছাড়ছেন না প্রোটিয়া অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। সীমিত ওভারের ক্রিকেট আরও বেশি করে খেলবেন বলেই অনেক দিন ধরে টেস্ট থেকে স্বেচ্ছাবিরতি নিয়েছেন। কিন্তু সীমিত ওভারের কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট না জিতেই কি ক্যারিয়ার শেষ হবে ডি ভিলিয়ার্সের? ‘৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান’ চেষ্টা করে যেতে চান শেষ পর্যন্ত, ‘আমার বিশ্বাস, আমি দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারব। আমি ভালো অধিনায়ক। আমাদের দলে প্রতিভার অভাব নেই। আমি এই দলটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’ 
ঠিক এ মুহূর্তে অবশ্য ডি ভিলিয়ার্সের কথায় আস্থা রাখার মতো মানুষ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।  

Comments

Popular posts from this blog

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...