বছরের শুরুতে ভারতে উষ্ণতা বেড়ে গিয়েছিল হঠাৎ। টেস্ট সিরিজ নিয়ে যে প্রায় রণমূর্তিতে নেমে পড়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। মাঠে আগ্রাসন, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে প্রায় এক মাস ক্রিকেট অঙ্গনকে জমিয়ে রেখেছিল দুই দল। আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন বিরাট কোহলি নিজেই। স্টিভ স্মিথের বিপক্ষে অনৈতিক ডিআরএস সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ তুলে সিরিজকে রণাঙ্গনের রূপ দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। এত দিন পর স্মিথ জানাচ্ছেন, কোহলির সব অভিযোগ ছিল ভিত্তিহীন।
পুনেতে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম টেস্ট জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টেও সে পথে ছুটছিল সফরকারীরা। কঠিন উইকেট হলেও লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাচের এক মুহূর্তে এলবিডব্লু দেওয়া হয় স্মিথকে। সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ থাকায় পিটার হ্যান্ডসকম্বের দিকে তাকান স্মিথ। হ্যান্ডসকম্বও কী বুঝে ড্রেসিংরুমের দিকে ইঙ্গিত করেন। অধিনায়ক স্মিথও ওই দিকে নজর ফেরান। দেখে মনে হচ্ছিল, ড্রেসিংরুমের কাছ থেকে ইঙ্গিত খুঁজছেন দুজন, যা আইনবিরোধী। কিন্তু আম্পায়ার এগিয়ে এসে ফেরত পাঠান স্মিথকে।
ম্যাচ শেষে বিজয়ী অধিনায়ক কোহলি দাবি করেন, অস্ট্রেলিয়া নাকি ডিআরএসের ক্ষেত্রে আগেও এমন অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে। নিজের নতুন বই ‘দ্য জার্নি’তে স্মিথ বলেছেন, ‘এ দাবি মিথ্যা, আমরা কখনো ড্রেসিংরুমের সাহায্য নিইনি। আর কোহলি দাবি করেছে, সে আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেছে। কিন্তু আম্পায়ার কিংবা ম্যাচ রেফারিরা এ নিয়ে কখনো কথা বলেনি আমাদের সঙ্গে।’
স্মিথের ধারণা নিজের স্বার্থেই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন কোহলি। কারণ, এমন একটি দাবির পক্ষে পরবর্তী সময়ে কোনো যুক্তি দেখাননি ভারত অধিনায়ক। এমনকি আর কখনো এ নিয়ে কথা বলেননি কোহলি, ‘বিরাট হলো তাদের একজন যে চাপ পছন্দ করে। সে যুদ্ধ ভালোবাসে। আমার ধারণা, ও রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সে নিজের ভালোটা বের করে আনতে চাইছিল। আমরা মাঠের বাইরের সাহায্য নেওয়া নিয়ে কখনো কথা বলিনি। আমি ভেবে পাই না, সে আসলে কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। আইসিসি এ নিয়ে কোনো কথা বলেনি এবং বিরাট নিজেও প্রকাশ করেনি আসলে কী বলতে চাইছিল। আইপিএলের সময় তো সে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেছে, যেন অমন কিছু ঘটেইনি! এটা আমার কাছে এখনো বড় রহস্য।
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment