Skip to main content

দক্ষিণ আফ্রিকায় নাকানিচুবানি খায়নি কে!

আর মাত্র দুই ম্যাচ। ২৬ ও ২৯ অক্টোবর দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেললেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের এই সিরিজ শেষ করবে বাংলাদেশ। গত দুই বছরের সুসময় শেষে দেশের ক্রিকেটে অশনিসংকেত শোনা যাচ্ছে। চায়ের দোকান, কি অফিস রুম, ক্রিকেটারদের মুণ্ডুপাত করা হচ্ছে সবখানেই। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন ফল কি অবশ্যম্ভাবী ছিল না? নিজেদের উঠোনে প্রোটিয়ারা সব সময়ই দুর্দান্ত। অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের হিসাব নিলেই সেটা বোঝা যাবে। ২০১৩ সালে পাকিস্তান যা একটু লড়াই করে এসেছিল। উপমহাদেশের প্রথম ও একমাত্র দল হিসেবে ওয়ানডে সিরিজ জিতে এসেছিল। এরপর যে দলই সেখানে গেছে, টেস্ট, ওয়ানডে কি টি-টোয়েন্টি, সব সিরিজে নাকানিচুবানি খেয়ে এসেছে।
ভারত
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রতাপশালী ভারতীয় দল। টিম ইন্ডিয়া তখন দারুণ ছন্দে, ছয় মাস আগেই ইংল্যান্ডে জিতেছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। পূর্ণ শক্তির ভারতীয় দলকেও মাটিতে নামিয়েছিল প্রোটিয়ারা। ওয়ানডেতে ২-০ আর টেস্টে ১-০-তে সিরিজ জিতেছিলেন গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্সরা। ৩ ম্যাচে ৩৪২ রান করে ওয়ানডেতে সিরিজসেরা হয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। টেস্ট সিরিজসেরা ডি ভিলিয়ার্স, ৩ ইনিংসে রান করেছিলেন ১৯০।
অস্ট্রেলিয়া
ফেব্রুয়ারি ২০১৪-তে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুটো সিরিজই জিতেছিল মাইকেল ক্লার্কের দল। মাইকেল ক্লার্ক আর মিচেল জনসনের তোপে ২-১ ও ২-০ ব্যবধানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল গ্রায়েম স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৬-তে এসে পূর্বসূরির সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছেন ফাফ ডু প্লেসি। ৫-০ ব্যবধানে স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। সিরিজসেরা হয়েছিলেন রাইলি রুশো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২০১৪-১৫-র সেই সিরিজে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক নিয়ে খেলেছিল দুই দল। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিলেন ২-১ ব্যবধানে, ক্রিস গেইলের সৌজন্যে। কিন্তু দীনেশ রামদিনের টেস্ট দলকে ২-০-তে ধোলাই করেছিলেন আমলা, ৩ টেস্টে ৩৪২ রান করে সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন প্রোটিয়া দলপতি। আর নতুন ওয়ানডে কাপ্তান জেসন হোল্ডারকে দুঃস্বপ্নের এক সিরিজ উপহার দিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ৪-১-এ জেতা সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড করেছিলেন ‌‌‘মি. ৩৬০’। তবে ৮২.৬ গড়ে ৪১৩ রান করে ওয়ানডেতেও সিরিজসেরা হন আমলা।
নিউজিল্যান্ড
কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড দল সফর করেছিল ২০১৫ সালের আগস্টে। মার্টিন গাপটিলের সিরিজ সর্বোচ্চ ১০২ রানের কল্যাণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র করতে পারলেও হারতে হয়েছিল ওয়ানডেতে। আমলা ও ইমরান তাহিরের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিলেন ডি ভিলিয়ার্সরা।
ইংল্যান্ড
২০১৫-১৬-তে অ্যালিস্টার কুক আর এউইন মরগানের ইংল্যান্ড দল আসে আফ্রিকায়। বেন স্টোকসের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানের জয়ও পায় সফরকারীরা। কিন্তু সীমিত ওভারে সেই দাপুটে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩-২ ও ২-০ ব্যবধানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে স্বাগতিকেরা।
শ্রীলঙ্কা
২০১৬-১৭ মৌসুমের প্রথম দল হিসেবে আফ্রিকান সাফারিতে এসেছিল লঙ্কানরা। ওয়ানডেতে ৫-০ আর টেস্টে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস-উপুল থারাঙ্গারা। তবে নিরোশান ডিকভেলার ব্যাটে (সিরিজে ১৩৪ রান) টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে জেতে শ্রীলঙ্কা।
কোনো সন্দেহ নেই, এই সিরিজে বাংলাদেশ দলের এমন পারফরম্যান্স লজ্জাজনক। কিন্তু মুশফিক, তাসকিনদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সময় দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্সটাও মাথায় রাখা উচিত। পরিসংখ্যানই তো বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় জেতা সহজ নয় মোটেই। অবশ্য বাংলাদেশের খেলায় লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও ছিল না, একেবারে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ; এটাই বেশি হতাশ করেছে সমর্থকদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অন্য দেশগুলোর রেকর্ড
দল
টেস্ট
ওয়ানডে
টি-টোয়েন্টি
সাল
ভারত
-
পরাজিত (২-০)
পরাজিত (১-০)
২০১৩
অস্ট্রেলিয়া
জয়ী (২-১)
পরাজিত (৫-০)
জয়ী (২-০)
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ২০১৪
ওয়ানডে ২০১৬
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরাজিত (২-০)
পরাজিত (৪-১)
জয়ী (২-১)
২০১৪/১৫
নিউজিল্যান্ড
-
পরাজিত (২-১)
ড্র (১-১)
২০১৫
ইংল্যান্ড
জয়ী (২-১)
পরাজিত (৩-২)
পরাজিত (২-০)
২০১৫/১৬
শ্রীলঙ্কা
পরাজিত (৩-০)
পরাজিত (৫-০)
জয়ী (২-১)
২০১৬/১৭

Comments

Popular posts from this blog

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...