Skip to main content

অভিষেকে সেঞ্চুরি ‘ইনজামাম–ভাতিজা’ ইমামের

ইনজামাম-উল-হক পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন, দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু ভাতিজা ইমামুল হকের চেয়ে ইনজামাম পিছিয়ে পড়লেন একটি জায়গায়। ওয়ানডে অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইমামুল। ইনজামামের যেটি পেতে খেলতে হয়েছিল ছয়টি ওয়ানডে। কাল আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইমাম সেঞ্চুরি করেছেন। ১২৫ বল খেলে ১০০ রানের ইনিংসটি দিয়ে ইনজামামকে খুব করেই মনে করালেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ইমামের অবস্থান ১৩তম। দ্বিতীয় পাকিস্তানি হিসেবে তিনি এই কীর্তি গড়লেন। এর আগে ১৯৯৫ সালে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই গুজরানওয়ালায় ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন সেলিম ইলাহি। ২১ বছর বয়সী ইমাম অবশ্য এই কীর্তি থেকে বঞ্চিত হলেও হতে পারতেন। সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে থাকতে (৮৯) লাহিরু গামাগের বলে উইকেটের পেছনে নিরোশান ডিকভেলাকে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু টেলিভিশন আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো রিপ্লে দেখে সেই ক্যাচ বাতিল করে দেন। ডিকভেলা বলটি ধরার আগে সেটি মাটি স্পর্শ করেছিল। অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তিটা যেন ইমামের কপালে লেখাই ছিল। নতুন জীবন পেয়ে আর ১১টি রান তুলে নিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি তাঁর।
৮৯ রানে ফিরতে হলে সারা জীবন সেই আফসোস বয়ে বেড়াতে হতো ইমামকে, ‘আমি ভেবেছিলাম আউট হয়ে গেছি। আমি ফিরেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু ননস্ট্রাইকিংয়ে দাঁড়ানো মোহাম্মদ হাফিজ আমাকে অপেক্ষা করতে বলেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, বল মাটি স্পর্শ করেছে। আমি গর্বিত, অবশ্যই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করতে পেরে।’
ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটাররা
নাম
প্রতিপক্ষ
সাল
ডেনিস অ্যামিস (ইংল্যান্ড)
অস্ট্রেলিয়া
১৯৭২
ডেসমন্ড হেইনস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
অস্ট্রেলিয়া
১৯৭৮
অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (জিম্বাবুয়ে)
শ্রীলঙ্কা
১৯৯২
সেলিম ইলাহী (পাকিস্তান)
শ্রীলঙ্কা
১৯৯৫
মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২০০৯
কলিন ইনগ্রাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)
জিম্বাবুয়ে
২০১০
রব নিকোল (নিউজিল্যান্ড)
জিম্বাবুয়ে
২০১১
ফিল হিউজেস (অস্ট্রেলিয়া)
শ্রীলঙ্কা
২০১৩
মাইকেল লাম্ব (ইংল্যান্ড)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২০১৪
মার্ক চ্যাপম্যান (হংকং)
আরব আমিরাত
২০১৫
লোকেশ রাহুল (ভারত)
জিম্বাবুয়ে
২০১৬
টেম্বা বাভুমা (দক্ষিণ আফ্রিকা)
আয়ারল্যান্ড
২০১৬
ইমাম উল হক (পাকিস্তান)
শ্রীলঙ্কা
২০১৭

Comments

Popular posts from this blog

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...