হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে এখন বাংলাদেশের একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
অধিনায়ক হিসেবে ৫০টি ওয়ানডে খেলার কীর্তি মাশরাফি গড়তে যাচ্ছেন তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে। এর আগে হাবিবুল বাশার ও সাকিব আল হাসানও খেলেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে অন্তত ৫০টি করে ওয়ানডে ম্যাচ। ৬৯টি ম্যাচ খেলে অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন মুশফিক, সাকিব অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন ঠিক ৫০টি ম্যাচই।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ পান মাশরাফি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টেই ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এতে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় বেশ কয়েকদিনের জন্য। অধিনায়ক হিসেবে সেটিই ছিল মাশরাফির প্রথম এবং একমাত্র টেস্ট।
ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির অভিষেক হয় ২০১০ সালে। নেতৃত্বে নিয়োগ পাওয়ার এক বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিস্টলে বাংলাদেশকে এক ঐতিহাসিক জয় এনে দেন তিনি। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ ওভারে ৭ রান দেওয়ার পর আবারও ইনজুরির শিকার হন তিনি। এতে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন আবারও।
ঐ সময়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। পরে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মুশফিকুর রহিম দলকে নেতৃত্ব দেন। টানা ব্যর্থতায় মুশফিকের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ার পর নতুন করে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় মাশরাফির হাতে, আর তাতেই পাল্টে যায় বাংলাদেশ।
মাশরাফি অধিনায়ক হওয়ার পর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একের পর এক সাফল্য পেতে থাকে বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলে। নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এই ক্রিকেটারের নেতৃত্বে নবম স্থান থেকে ষষ্ঠ স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ। যদিও বর্তমানে দলের র্যাংকিং সপ্তম।
এখন পর্যন্ত মাশরাফির অধিনায়কত্বে খেলা ৪৯টি ওয়ানডের ২৭টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে ২০টিতে। জয়ের হার ৫৭.৪৪, যা কোনো বাংলাদেশী অধিনায়কের পক্ষে সর্বোচ্চ। সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে মাশরাফির ৫০তম ওয়ানডে স্মরণীয় থাকবে, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।
তামিমের বদলে মুমিনুল
ইনজুরির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছিটকে পড়া ওপেনার তামিম ইকবালের পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন মুমিনুল হক। প্রধান নির্বাচক ও সিরিজে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়ানডে দলের সঙ্গে মুমিনুল হক রয়েছে। শেষ ম্যাচেও সে থাকবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তামিমের জায়গায় সে দলে ঢুকবে।’
আর তামিমের ইনজুরি নিয়ে নান্নু জানান, ইনজুরির কারণে তামিম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারবে না। সে এখন দেশে ফিরে যাবে। পুরোপুরি সুস্থ হতে ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে।’
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। রবিবার ইস্ট লন্ডনে হবে শেষ ওয়ানডে। এরপর দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। আর দুদলের মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে আগামী ২৬ ও ২৯ অক্টোবর।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়ানডে দলের সঙ্গে মুমিনুল হক রয়েছে। শেষ ম্যাচেও সে থাকবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তামিমের জায়গায় সে দলে ঢুকবে।’
আর তামিমের ইনজুরি নিয়ে নান্নু জানান, ইনজুরির কারণে তামিম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারবে না। সে এখন দেশে ফিরে যাবে। পুরোপুরি সুস্থ হতে ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে।’
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। রবিবার ইস্ট লন্ডনে হবে শেষ ওয়ানডে। এরপর দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। আর দুদলের মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে আগামী ২৬ ও ২৯ অক্টোবর।
Comments
Post a Comment