ওভারের প্রথম বলে বাজে ফিল্ডিংয়ে বাউন্ডারি। চতুর্থ বলে ক্যাচ মতো ছিল, দারুণ চেষ্টা করেও পারেনি লিটন দাস। শেষ বলে কাজ সারলেন সাকিব নিজেই। বোল্ড করে দিলেন জেপি দুমিনিকে।
আবারও একটু জোরের ওপর করা ফুল লেংথ বল। দুমিনি সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড।
৪ রানে বোল্ড দুমিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৭।
মুখোমুখি প্রথম বলেই সাকিবকে চার মেরেছিলেন ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে। সেটি ছিল প্রথম ওভারের শেষ বল। নিজের পরের ওভারে সাকিব মেলে ধরলেন তার অভিজ্ঞতার ঝুলি। বোল্ড করে দিলেন মোসেলেকে।
ওভারের প্রথম বলটি সাকিব করলেন অনেক ঝুলিয়ে। মোসেলে টাইমিং করতে পারলেন না ঠিক মত। পরের বলটি প্যাডল করতে গিয়ে ব্যর্থ। তৃতীয় বলে বোল্ড। একটু জোরের ওপর, উইথ দা আর্ম ভেতরে ঢোকা বল প্যাডে লেগে লাগল স্টাম্পে।
৫ বলে ৫ রানে বোল্ড মোসেলে। দক্ষিণ আফ্রিকা ১ উইকেটে ২৩।
ডি ককের বিশ্রামে হাশিম আমলার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শুরু করেছেন ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে। এবছর প্রোটিয়াদের হয়ে ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫ বলে ৩২, ইংল্যান্ডের বিপক্ষ ২২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। তবে ওপেন করলেন এই প্রথমবার।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে পরিবর্তন দুটি। ডেন প্যাটারসনের বদলে এসেছেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে কুইন্টন ডি কককে। তার বদলে এসেছে ম্যাঙ্গালিসো মোসেলে। এই বছরই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
খেলার কথা ছিল চায়নাম্যান বোলার তাবরাইজ শামসির। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায় খেলতে পারছেন না তিনি। স্পিনে থাকছেন অ্যারন ফাঙ্গিসোই।
বাংলাদেশ একাদশে আগের ম্যাচ থেকে পরিবর্তন একটি। পেসার শফিউল ইসলাম জায়গা হারিয়েছেন। একাদশে এসেছেন লিটন কুমার দাস।
টসের সময় সাকিব জানালেন, টস জিতে পরে ব্যাটিং নেওয়ার অন্যতম কারণ বোলার কমিয়ে একজন ব্যাটসম্যান বাড়তি খেলানো।
বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
আগের ম্যাচে টস হেরে বোলিং পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার টস জিতে সাকিব আল হাসান নিলেন বোলিং।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জেপি দুমিনি জানালেন, টস জিতলে বোলিং নিতেন তিনিও।
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। এই প্রবচনের সঙ্গে ক্রিকেটের মিল খুব একটা নেই। বিভীষিকার সফরে শেষ ম্যাচটি জিতলেও বাংলাদেশের ‘সব ভালো’ হয়ে যাবে না। প্রাপ্তির হাতছানি তবুও আছে। কিছু একটা পাওয়া!
একের পর এক হারে জর্জরিত দল। এই সফর থেকে পাওয়া হয়নি কিছুই। শেষ ম্যাচ জিতলে অন্তত কিছু একটা পাওয়া হবে। জয়ের হাসির দেখা মিলবে। চুরমার হয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস খানিকটা জোড়া লাগবে ভবিষ্যতের জন্য। শেষটা জিতলে অন্তত খানিকটা ফুরফুরে অনুভূতি নিয়ে ফেরা যাবে দেশে।
Comments
Post a Comment