Skip to main content

ভুলে গেলে চলবে না বোলাররাই আমাদের অনেক জয়ে সাহায্য করেছে’

গেল আড়াই বছরের পরিচিত বাংলাদেশ দলটাকেই কেমন যেন অপরিচিত লাগছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এ যেন এক অন্য বাংলাদেশ দল। টেস্ট সিরিজে বিশাল ব্যবধানে হারার পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ১০ উইকেটের লজ্জার হার।
অ্যাংকেল মচকে যাওয়ায় এই সিরিজে আর খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রধান ভরসা মুস্তাফিজুর রহমানের। বাকিদের বোলিংয়েও নেই চোখে পড়ার মতো কিছুই। চারদিক থেকে সমালোচনার তীর ধেয়ে আসা বাংলাদেশ দলের সামনে এবার ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল।
ইনজুরির কারণে তামিম নিজেও ছিলেন না দ্বিতীয় টেস্ট ও প্রথম ওয়ানডেতে। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাকে মাঠে পাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। নিজের সুস্থতা জানান দিতেই বুধবারের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান তামিম। সেখানেই বোলারদের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বোলারদের নিয়ে অনেক ধরণের কথা শুনছি। তারা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না গেলো দুই বছরে বোলাররাই আমাদের অনেক জয়ে সাহায্য করেছে।’
দলে বোলারদের অবদান মনে করিয়ে দিয়ে তামিম বলেন, ‘মুস্তাফিজ (রহমান) ছিল ভারত সিরিজের সব থেকে আলোচিত বোলার কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তাসকিনও (আহমেদ) অনেকবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ সালে রুবেলের (হোসেন) পারফরমেন্স ভুলে গেলে চলবে না। যখন তারা ভালো করতে পারবে না, আমাদের উচিত তাদের পাশে থাকা এবং সমর্থণ দেওয়া। আমি নিশ্চিত পরের ম্যাচে বা তার পরের ম্যাচে অথবা পরের সিরিজে বোলাররা ফিরবেই।’
সিরিজে এখনও ভালো কিছু করে দেখাতে না পারলেও আশা ছাড়ছেন না বাংলাদেশের হয়ে সব ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী। বলেন, ‘আমরা ভালো খেলতে পারিনি। ৩০০ রানের বেশি হলে ভালো কিছুর আশা করা যেত। কিন্তু এই কন্ডিশনে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলাটা কঠিন। শুরুতে উইকেট নিতে না পারা আমাদের কষ্ট দেয় কিন্তু আমরা আমাদের সেরাটাই চেষ্টা করি। বিশ্ব টিকে আছে আশায়, আমরাও সেটাই করছি। আমরা বিশ্বাস করি আমরা পারবো। নতুন দিনের নতুন ম্যাচে আমাদের নতুন পরিকল্পনা থাকবে। ভুলগুলোই আমাদের শেখাবে।’
শুধু বোলারটাই নয়, সমালোচকদের কাঠগড়ায় পেস বোলিং কোচ কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশও। গেল সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের বোলাররা বড় ধরণের কোন সাফল্য এনে দিতে পারেননি। কেন এমন হচ্ছে? ওয়ালশের চেষ্টার কোনো ঘাটতি দেখছেন না তামিম।
তিনি বলেন, ‘ওয়ালশ যে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন, সেটা বিরাট ব্যাপার। আমরা জানি, তিনি খেলোয়াড়ি জীবনে কী করেছেন। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয় কম। তবে যতটুকু দেখি, বুঝি, তিনি তার দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দিন শেষে কে কতটা সেটা কাজে লাগাচ্ছে। আমার কাছে দুনিয়ার সব পরিকল্পনা থাকতে পারে। যদি সেটা কাজে না লাগাই, তবে কাউকে দোষ দেওয়ার পক্ষে আমি নই।’

Comments

Popular posts from this blog

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...