কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের আল আমিন হোসেন সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই একবাক্যে বলে দিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না ওই ওভারটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’ রাজশাহী কিংসের লুক রাইট অবশ্য তা মনে করেন না, ‘আমি মনে করি ড্যারেন স্যামি বিরাট পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
ম্যাচটা ঘুরল কোথায়—এ প্রশ্নে দুই রকম উত্তর পাওয়া গেল। ১৯ ওভার শেষে রাজশাহীর রান ছিল ৭ উইকেটে ১৫৩। সাইফউদ্দিনের এক ওভারে ধুমধাড়াক্কা পিটিয়ে স্যামি স্কোরটা নিয়ে গেলেন ১৮৫-তে। ওভারে উঠল ৩২ রান! রাজশাহী শেষ পর্যন্ত জিতল ৩০ রানে। রাজশাহীর প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা রাইট তাই বললেন, ‘ওটা (ঝড়) না হলে আমাদের স্কোরটা হয়তো ১৬০ হতো। অবশ্য মোহাম্মদ সামি অসাধারণ বোলিং করেছে। তবে মনে করি ড্যারেন স্যামি ওদের ওপর অনেক চাপ তৈরি করেছে, যেটা পরে উইকেট তুলে নিতে সহায়তা করেছে।’
কিন্তু ম্যাচের গল্পটা অন্য রকম হতে পারত, যদি মোহাম্মদ সামি দুর্দান্ত বোলিং না করতেন! বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা কুমিল্লা ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। ১৪ ওভারে তুলে ফেলেছিল ৩ উইকেটে ১২৪। ৩৬ বলে ৬২ রানের সমীকরণ কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না কুমিল্লার। উইকেটে যে তখন ৬৩ রানে অপরাজিত তামিম ও ১৩ রানে জস বাটলার। তখনই সামির তোপ। পাঁচ বলের মধ্যে ফিরিয়ে দিলেন তামিম, অলক কাপালি ও সাইফউদ্দিনকে। এই ধাক্কা সামলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি কুমিল্লা।
আল আমিনের কাছে তাই সামির ওভারটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমার কাছে মনে হয় সামির ওই ওভারে আমরা ছিটকে গেছি। এর আগ পর্যন্ত কিন্তু আমরা ম্যাচে ছিলাম। একটা ওভারে ৩০-৩২ রান হতেই পারে। এটা খেলার অংশ। ওদের প্রায় সব বোলারের দেখেন ইকোনমি ১০-১১-১২। একমাত্র সামি ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছে। সামিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
যেটিই হোক, কুমিল্লার পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের মন বেজায় খারাপ। এক মাসের ব্যবধানে দুবার দাগা খেলেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার। একটি ডেভিড মিলার, আরেকটি স্যামির কাছে। ২৯ অক্টোবর পচেফস্ট্রুমে মিলার সাইফউদ্দিনের এক ওভারে তুললেন ৩১ রান আর আজ জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্যামি করলেন ৩২ রান! অল্প সময়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে দুবার নিগ্রহের শিকার হলে একজন তরুণ বোলারের মনোজগতে বড় প্রভাব পড়ার কথা।
ম্যাচটা ঘুরল কোথায়—এ প্রশ্নে দুই রকম উত্তর পাওয়া গেল। ১৯ ওভার শেষে রাজশাহীর রান ছিল ৭ উইকেটে ১৫৩। সাইফউদ্দিনের এক ওভারে ধুমধাড়াক্কা পিটিয়ে স্যামি স্কোরটা নিয়ে গেলেন ১৮৫-তে। ওভারে উঠল ৩২ রান! রাজশাহী শেষ পর্যন্ত জিতল ৩০ রানে। রাজশাহীর প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা রাইট তাই বললেন, ‘ওটা (ঝড়) না হলে আমাদের স্কোরটা হয়তো ১৬০ হতো। অবশ্য মোহাম্মদ সামি অসাধারণ বোলিং করেছে। তবে মনে করি ড্যারেন স্যামি ওদের ওপর অনেক চাপ তৈরি করেছে, যেটা পরে উইকেট তুলে নিতে সহায়তা করেছে।’
কিন্তু ম্যাচের গল্পটা অন্য রকম হতে পারত, যদি মোহাম্মদ সামি দুর্দান্ত বোলিং না করতেন! বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা কুমিল্লা ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। ১৪ ওভারে তুলে ফেলেছিল ৩ উইকেটে ১২৪। ৩৬ বলে ৬২ রানের সমীকরণ কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না কুমিল্লার। উইকেটে যে তখন ৬৩ রানে অপরাজিত তামিম ও ১৩ রানে জস বাটলার। তখনই সামির তোপ। পাঁচ বলের মধ্যে ফিরিয়ে দিলেন তামিম, অলক কাপালি ও সাইফউদ্দিনকে। এই ধাক্কা সামলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি কুমিল্লা।
আল আমিনের কাছে তাই সামির ওভারটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমার কাছে মনে হয় সামির ওই ওভারে আমরা ছিটকে গেছি। এর আগ পর্যন্ত কিন্তু আমরা ম্যাচে ছিলাম। একটা ওভারে ৩০-৩২ রান হতেই পারে। এটা খেলার অংশ। ওদের প্রায় সব বোলারের দেখেন ইকোনমি ১০-১১-১২। একমাত্র সামি ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছে। সামিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
যেটিই হোক, কুমিল্লার পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের মন বেজায় খারাপ। এক মাসের ব্যবধানে দুবার দাগা খেলেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার। একটি ডেভিড মিলার, আরেকটি স্যামির কাছে। ২৯ অক্টোবর পচেফস্ট্রুমে মিলার সাইফউদ্দিনের এক ওভারে তুললেন ৩১ রান আর আজ জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্যামি করলেন ৩২ রান! অল্প সময়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে দুবার নিগ্রহের শিকার হলে একজন তরুণ বোলারের মনোজগতে বড় প্রভাব পড়ার কথা।
একজন পেসার হিসেবে আরেকজন পেসারের এই মনবেদনা আল আমিনের চেয়ে কে ভালো বুঝবে, ‘এ সময় আসলে একজন বোলার মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। প্রথম বলে ব্যাটসম্যান যদি চার বা ছয় মেরে দেয়, তাহলে ঘুরে দাঁড়ানো অনেক কঠিন। প্রথম বলে চার-ছয় হয়ে গেলে ওভারে ১০-১২ রান হয়ে যায়। এই বিপিএলে সর্বশেষ ৬ ম্যাচে সে ভালো বোলিং করেছে। একটা ম্যাচ খারাপ হতেই পারে। সামনের ম্যাচে আশা করি ভালোভাবে ফিরে আসবে।’
আল আমিন অবশ্য ভুল বলেননি। আজকের ম্যাচটা বাদ দিলে টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো বোলিং করছেন সাইফউদ্দিন। উইকেট শিকারে কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে, ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। রাইট তাই বলছেন, স্যামি-ঝড় ভুলে সাইফউদ্দিন মনোযোগ দিতে পারেন সামনে, ‘স্যামি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার, অনেক দিন ধরেই সে এভাবে খেলছে। আমার মনে হয় সাইফউদ্দিন বৈচিত্র্য নিয়ে আরও কাজ করতে পারে। অবশ্যই সে চেষ্টা করেছে। কিন্তু জানেন স্যামি কত বিখ্যাত বোলারকেই তো মেরেছে। তার (সাইফউদ্দিন) উচিত এখান থেকে শেখা। এটা তার অনেক বড় শিক্ষা। নেটে নিজের স্কিল নিয়ে আরও অনুশীলন করতে পারে। যেহেতু সে ভালো বোলার, আশা করি আরও ভালোভাবে ফিরব।’
ম্যাচের পার্থক্য হয়েছে কোথায়, আল আমিন-রাইটের কথা অনুযায়ী উপসংহারে পৌঁছানো কঠিন। তবে ম্যাচ অ্যাজুডিকেটর ম্যাচসেরা হিসেবে স্যামির নামই ঘোষণা করেছেন।
আল আমিন অবশ্য ভুল বলেননি। আজকের ম্যাচটা বাদ দিলে টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো বোলিং করছেন সাইফউদ্দিন। উইকেট শিকারে কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে, ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। রাইট তাই বলছেন, স্যামি-ঝড় ভুলে সাইফউদ্দিন মনোযোগ দিতে পারেন সামনে, ‘স্যামি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার, অনেক দিন ধরেই সে এভাবে খেলছে। আমার মনে হয় সাইফউদ্দিন বৈচিত্র্য নিয়ে আরও কাজ করতে পারে। অবশ্যই সে চেষ্টা করেছে। কিন্তু জানেন স্যামি কত বিখ্যাত বোলারকেই তো মেরেছে। তার (সাইফউদ্দিন) উচিত এখান থেকে শেখা। এটা তার অনেক বড় শিক্ষা। নেটে নিজের স্কিল নিয়ে আরও অনুশীলন করতে পারে। যেহেতু সে ভালো বোলার, আশা করি আরও ভালোভাবে ফিরব।’
ম্যাচের পার্থক্য হয়েছে কোথায়, আল আমিন-রাইটের কথা অনুযায়ী উপসংহারে পৌঁছানো কঠিন। তবে ম্যাচ অ্যাজুডিকেটর ম্যাচসেরা হিসেবে স্যামির নামই ঘোষণা করেছেন।
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment