Skip to main content

কী নাটকীয়ভাবে সাকিবদের হারালেন মাশরাফিরা!

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকার বোলিংয়ে সাকিব আল হাসান নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। কিন্তু টানটান উত্তেজনার এ ম্যাচে হাসেনি সাকিবের ব্যাট। তাঁর দলও জয়ের তীরে গিয়ে তরি ডুবিয়েছে!
রংপুরের ১৪২ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ৫ ওভারে ৩১ রান দরকার ছিল ঢাকার। এখান থেকে দলকে সহজেই জেতাতে পারতেন কাইরন পোলার্ড ও মেহেদী মারুফ। কিন্তু ১৭.৫ ওভারে মারুফ ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে ঢাকা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল ঢাকার। হাতে ২ উইকেট। থিসারা পেরেরার সেই ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে সমীকরণটাকে ৩ বলে ৪ রানের দূরত্বে নামিয়ে আনেন পোলার্ড। পরের বলে কোনো রান আসেনি। কিন্তু এরপর টানা দুই বলে পোলার্ড ও আবু হায়দারকে তুলে নিয়ে রংপুরের ৩ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় ছিনিয়ে আনেন পেরেরা।

ঢাকার ইনিংস শুরু হয়েছিল চাপ নিয়ে। দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান ওপেনার সুনীল নারাইন। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সাকিব। ১১ রান করে সোহাগ গাজীর বলে ঢাকা অধিনায়ক যখন আউট হন, দলের স্কোর তখন ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৫। এখান থেকে ঢাকা ইনিংস গড়েছে এভিন লুইস আর জহুরুল ইসলামের ব্যাটে। লুইসের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮, জহুরুলের সংগ্রহ ২৯। তারপরও একপর্যায়ে ১০.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে ধুঁকছিল ঢাকা। শহীদ আফ্রিদির ১৫ বলে ২১ রানে বিপর্যয় কাটিয়ে জয়কে ৩৩ বলে ৩২ রানের সমীকরণে নামিয়ে আনে সাকিবের দল। কিন্তু ঠিক তখনই রুবেল হোসেনের বলে আফ্রিদির উইকেট ছত্রখান! এখান থেকে পোলার্ড-মারুফ চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দল জেতেনি। রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট পেরেরা, সোহাগ গাজী, রুবেল হোসেন ও মাশরাফির।

এর আগে টস জিতে রংপুরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন সাকিব। ক্রিস গেইলের ২৮ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে রংপুর বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত আর পারেনি। বলা ভালো, ইনিংসের শেষ ওভারে সাকিব একাই ছেঁটে দিয়েছেন রংপুরের ব্যাটিংকে! ৫ বলের ব্যবধানে ফেলেছেন ৪ উইকেট! এর মধ্যে তাঁর প্রথম বলে রান আউট হন রবি বোপারা। পরের বলে ক্যাচ দেন জিয়াউর রহমান। তৃতীয় বলে লাসিথ মালিঙ্গা ১ রান নিলেও সাকিবের পরবর্তী দুই বলে ফিরেছেন সোহাগ গাজী আর রুবেল হোসেন।

শেষ ওভারে ভেলকি দেখানোর আগে মোহাম্মদ মিথুন আর শাহরিয়ার নাফিসকেও তুলে নেওয়ায় এ ম্যাচে ১৬ রান খরচায় মোট ৫ উইকেট পেলেন সাকিব। এর আগে ২০১৩ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। একই বছর বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে শিকার করেছিলেন ৬ উইকেট।

Comments

Popular posts from this blog

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...