চণ্ডীগড়ে অটোরিকশায় উঠে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন যিনি, তাঁরই সাবধান হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন মহিলা সাংসদ কিরণ খের। তাঁর কথায়, ‘‘অটোরিকশায় তিন পুরুষ যাত্রীকে দেখে কেন তাতে চড়তে গেলেন ওই মহিলা? নিজেদের নিরাপত্তার কথা তো মেয়েদেরই ভাবতে হবে সবার আগে।’’
স্টেনোগ্রাফির ক্লাস সেরে রাতে চণ্ডীগড়ের ৩৭ নম্বর সেক্টর থেকে মোহালিতে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্য গতকাল একটি অটোরিকশায় ওঠেন ২২ বছরের ওই যুবতী। চালক ছাড়াও সেই অটোয় পুরুষ যাত্রী ছিলেন তিন জন। গণধর্ষণের শিকার হন ওই যুবতী। তার পর অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায় চণ্ডীগড়ের ৫৩ নম্বর সেক্টরে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। ওই সময় ৩৭ নম্বর সেক্টরে বাস থাকে না বললেই চলে।ওই ঘটনা নিয়ে চণ্ডীগড় প্রেস ক্লাবে সাংসদ কিরণ খেরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদের ওপর এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বাবা, মাদের শিক্ষা দিতে হবে ছেলেদের। তবে মেয়েরাও দায় এড়াতে পারেন না। মেয়েদেরও সতর্ক হতে হবে। আরও সজাগ হতে হবে। চণ্ডীগড় পুলিশের ১০০ নম্বরে ডায়াল করতে পারতেন ওই মহিলা।’’
এর পর মুম্বইয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেন কিরণ। তাঁর বক্তব্য, মুম্বইয়ে ট্যাক্সিতে উঠলেই তার নম্বর চেনাজানা কাউকে জানিয়ে রাখতেন। নিরাপত্তার জন্যই মহিলাদের এটা করা প্রয়োজন।
কিরণের কথায়, ‘‘এখন তো দিনকাল আরও খারাপ। তাই আরও সজাগ, সতর্ক হতে হবে মহিলাদের।’’
চণ্ডীগড়ে কেন রাজ্য মহিলা কমিশন নেই, সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে কিরণ বলেন, ‘‘দরকারটা কোথায়? মহিলা সাংসদ আছেন, মহিলা মেয়র আছেন, মহিলা পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট আছেন যখন, তখন আর মহিলা কমিশনের প্রয়োজনটা কোথায়?’’
মহিলা সাংসদের ওই মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা পবন কুমার বনশল। তাঁর কথায়, ‘‘উনি কী ভাবে এ কথা বলতে পারলেন, একটা গুরুতর বিষয়কে এ ভাবে লঘু করে দিতে পারলেন, তা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। চণ্ডীগড় শহরটাকে কী ভাবে মহিলাদের জন্য নিরাপদ জায়গা করে তোলা যায়, ওঁর তো সেই সব কথা বলা উচিত ছিল।’’
Comments
Post a Comment