বাংলাদেশ দলের তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম সেরা প্রতিভা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পেস বোলিং অলরাউন্ডারের আজন্মলালিত সাধ পূরণের আশা দেখাচ্ছেন এই ডানহাতি পেসার। কিন্তু অদ্ভুত এক সমস্যার জালে বারবার ধরা পড়ছেন তিনি। বল হাতে শেষটা ভালো হচ্ছে না এই অলরাউন্ডারের।
ব্যাখ্যা করা যাক। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর বোলিং যেকোনো দলের জন্যই মূল্যবান সম্পদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ বল করেছিলেন সাইফ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও আস্থা রেখেছিলেন, ইনিংসের মহাগুরুত্বপূর্ণ ১৯তম ওভার করতে দিয়েছিলেন তাঁকে। এর পরের গল্পটা সবার স্মৃতিতেই তাজা থাকার কথা। সেই ওভারে ৩১ রান দিয়েছিলেন সাইফ। টি-টোয়েন্টির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড করেছিলেন ডেভিড মিলার।
বিপিএলের আজকের ম্যাচেও ইনিংসের শেষ ওভার করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এটাই স্বাভাবিক, ৩ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। উইকেট তিনটিও বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের শিরোনাম—ডোয়াইন স্মিথ, লুক রাইট ও মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু আবারও শেষ ওভারে খেই হারিয়ে ফেললেন। ড্যারেন স্যামি ৪ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে ৩০ রান তুলেছেন। ওই ওভারে এসেছে ৩২ রান। ১৮৫ রানের পাহাড় টপকাতে পারেনি সাইফের দল। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতেই যেন ম্যাচটা তারা হেরেছে ৩০ রানের ব্যবধানে।
বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও শুরুর দিকে এমন ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। ভালো বল করেও ম্যাচ শেষ করতে না পারার দুঃস্বপ্ন তাঁর কম নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওভারে ১৭ রান দেওয়া এখনো বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের দীর্ঘশ্বাস বের করে আনে। আইপিএলে তাঁর একমাত্র মৌসুমেও ডেথ ওভার বোলিং না করতে পারায় দোষী হয়েছিলেন ম্যাশ। কিন্তু ম্যাশ নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন।
ডেথ ওভারে অন্য বোলার ব্যবহার করেই সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ। সাইফকেও হয়তো ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আর ভালো বোলার বলেই তাঁকে ডেথ ওভারেই বল করাতে হবে এমন কোনো কথা তো নেই। বিকাশ ঘটাতে গিয়ে আমরা যেন অতি ব্যবহারে আরেকটি প্রতিভা নষ্ট না করি।
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment