Skip to main content

রোনালদোর গোলে রিয়ালের স্বস্তির জয়

জিনেদিন জিদান খুশি থাকবেন এ ম্যাচ নিয়ে। লা লিগায় তাঁর মূল দুই গোল ভরসা রোনালদো ও বেনজেমা যে লিগে অবশেষে গোলের দেখা পেলেন!
লা লিগার ‘গোল দেবতা’ যেন পণ করেছিল রোনালদোর দিকে তাকাবেন না। না হলে, গোলের জন্য এমন হাপিত্যেশ কবে করতে হয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে! কখনো প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক কখনো বা লাইন্সম্যান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর সামনে। তবে রোনালদোকে আটকানো যায়নি আজ। ঠিকই দলকে জয় এনে দেওয়া গোল করেছেন। রোনালদো ও বেনজেমার গোল পাওয়ার দিনে মালাগাকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। 
ম্যাচের ৯ মিনিটেই অবিশ্বাস্যে মাথা নাড়তে হলো রোনালদোকে। মার্সেলোর ক্রস থেকে দুরূহ কোনা থেকে অসাধারণ এক হেড করলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সেটা গিয়ে লাগল ক্রসবারে! ফিরতি বল এসে পড়ল করিম বেনজেমার সামনে। ফাঁকা বারে সে বল মাথা দিয়ে ঢোকাতে ভুল করেননি বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে যাওয়া বেনজেমা। 
৯ মিনিট পরেই ম্যাচে সমতা নিয়ে এল মালাগা। ডিয়েগো রোলানের দারুণ এক বুদ্ধিদীপ্ত শট ঠেকাতে পারেননি কিকো ক্যাসিয়া। ৩ মিনিট পরেই অবশ্য ক্যাসিয়ার সে ভুল ভুলে গিয়েছিল বার্নাব্যু, রিয়ালকে আবারও এগিয়ে দিয়েছেন কাসেমিরো (২-১)। প্রথমার্ধে রোনালদো পেতে পারতেন আরও দুটি গোল। কিন্তু মালাগা গোলরক্ষক রবার্তো যেন পণই করেছিলেন রোনালদোকে গোল করতে দেবেন না। দুর্দান্ত দুটো সেভে রিয়াল ও রোনালদোকে হতাশ করেছেন তিনি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে জালে বল পাঠিয়েছিল মালাগা। কিন্তু গোলের আগে কার্ভাহালকে ফাউল করায় বাতিল হয়েছে সেটি।
৫৮ মিনিটেই ম্যাচ জমিয়ে দেন গঞ্জালো কাস্ত্রো। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া শটটি অবিশ্বাস্যভাবে মিস করেছেন ক্যাসিয়া। গোলরক্ষকের ভুলে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় রিয়াল। ৭৬ মিনিটে মডরিচের সুবাদে পেনাল্টি পায় রিয়াল। পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসেন রোনালদো এবং সেটা ঠেকিয়ে দেন রবার্তো! তবে ফিরতি বল এবার রোনালদোর সামনেই পড়েছিল। রিয়ালকে তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন রোনালদো।
৮৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটাও পেয়ে গিয়েছিলেন রোনালদো। লুকাস ভাসকেজের পাস থেকে করা সে গোল বাতিল হলো অফসাইডে। অথচ রিপ্লেতে দেখা গেছে রোনালদো কিংবা ভাসকেজ কেউই অফসাইডে ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রিয়ালকে। তবু জিনেদিন জিদান খুশি থাকবেন এ ম্যাচ নিয়ে। লা লিগায় তাঁর মূল দুই গোল ভরসা যে লিগে অবশেষে গোলের দেখা পেলেন!

Comments

Popular posts from this blog

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...