এই মুহূর্তে ক্রিকেটপাড়ার সবচেয়ে মুখরোচক খবর প্রধান কোচের পদ থেকে চান্দিকা হাতুরুসিংহের পদত্যাগ। গেল বৃহস্পতিবার জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এই লঙ্কান কোচ। মূলত শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার প্রস্তাব পাওয়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাতুরুসিংহে। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি নিয়েও আলোচনা চলছে।
হাতুরুসিংহের পদত্যাগের পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না এখন সেটাই জানার চেষ্টা করছে বিসিবি। তবে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের বিশ্বাস, বোর্ডের মান ক্ষুন্ন হয়, এমন কিছুই বলবেন না হাতুরুসিংহে।
জাতীয় দলের ম্যানেজার হওয়ায় হাতুরুসিংহের সাথে বেশ ঘনিষ্ট ছিলেন সুজন। সেই বিশ্বাস থেকেই বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। বোর্ড হয়তো তার সঙ্গে কথা বলবে, বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করবে। আমি মনে করি না, হাতুরুসিংহে এমন কিছুই বলবে যেটার কারণে বোর্ডের মান ক্ষুন্ন হবে। আমি নিশ্চিত এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। অন্য কোনও কারণও যদি থাকে সেটা আমরা শুনব।’
কোচের পদত্যাগ বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করছেন সুজন, ‘বাস্তব জীবন আসলে এটাই, কেউ বা চলে যাবে, কেউ আসবে। টেস্ট খেলুড়ে হওয়ার পর বাংলাদেশে অনেক কোচ এসেছে, অনেকে চলে গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট কিন্তু পথ হারায়নি, এগিয়ে গেছে। আশা করি সামনে আমরা আরও এগিয়ে যাব।’
বিসিবির সঙ্গে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত হাতুরুসিংহের চুক্তি ছিল। কিন্তু তার পদত্যাগের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে প্রায় দেড়বছর আগে চুক্তি বাতিল করতে হচ্ছে। এটা কিছুটা হলেও বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলবে বলেও মনে করেন সুজন, ‘সব তো ভালই ছিল। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ আমাদের জন্য হতাশাজনক ছিল। সামনে আমাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে। এই সময়ে হঠাৎ করে তার চলে যাওয়া আমাদের ক্রিকেটের জন্য একটু হলেও ক্ষতি হবে।’
বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেও ড্রেসিংরুমে নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন হাতুরুসিংহে। এরপরই শোনা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই নাকি বাংলাদেশ দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন এই লঙ্কান কোচ। কিন্তু এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘এটা এখন শোনা যাচ্ছে, তখন তো শোনা যায়নি। আমার সঙ্গে তার সম্পর্কটা দারুণ। আড়াই বছর আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। ও আমাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থাকা অবস্থায় কিছুই জানায়নি। খবরটা পেয়ে রীতিমতো আমি সারপ্রাইজ হয়েছি। আমরা আসলে তার যাওয়ার কারণ কিছুই জানি না। তার সঙ্গে কথা হলেই আসল কারণ জানা যাবে।’
Comments
Post a Comment