Skip to main content

জয়াবর্ধনের ছোঁয়ায় শাণিত আরিফুল

শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৬। উইকেট বাকি দুটি। রাজশাহী কিংসের জয়কে মনে হচ্ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। কিন্তু পরের সময়টুকু রাজশাহীকে উপহার দিল দুঃস্বপ্ন। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জেতালেন খুলনা টাইটানসকে। ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ১৯ বলে অপরাজিত ৪৩!

সেই জয়ও চার বল বাকি থাকতে। শেষ ৩ ওভারের ওই ১৪ বলে ৩৭ রান তুলে জিতেছে খুলনা। তার মধ্যে একটি বল খেলে জুনাইদ খান রান নেননি, একটি ছিল ওয়াইড। বাকি ১৩ বলে ৩৬ রান একাই করেছেন আরিফুল!
৩ ওভার বাকি থাকতে রাজশাহী কিংস যখন অপেক্ষায় জয়ের, আরিফুল তখন মনে কষছিলেন অন্য হিসাব। ম্যাচ শেষে জানালেন, পথটা পাড়ি দেওয়ার বিশ্বাস তার ঠিকই ছিল।
“আমার বিশ্বাস ছিল যে, আমি শেষ পর্যন্ত টানতে পারলে আমরা জিতব। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। একটা ব্যাপার ছিল, ফিল্ডার যখন অনেক বাইরে থাকে, মিস হিট হলেও দুই রান হওয়ার সুযোগ থাকে। আমার লক্ষ্য সেটিই ছিল, হয় ছক্কা মারব, অথবা দুই নেব…।”
৩ ওভারে যখন প্রয়োজন ৩৬, হোসেন আলির এক ওভারে ১৮ রান নিয়েই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন আরিফুল। মনে মনে জয়ের যে ছক আঁকছিলেন আরিফুল, সেটার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল অনভিজ্ঞ এই পেসারের ওভারকে যতটা পারা যায় কাজে লাগানো।
“হোসেন আলির ওভারটিই টার্গেট করেছিলাম, কারণ এরপর বিদেশি বোলাররা আসবে। হোসেন চেষ্টা করছিল ব্লকে বল করার। আমার লক্ষ্য ছিল মারব। হয়ত বড় শট খেলব, নয়ত দুই নেব। এটায় সফল হয়ে গেছি।”
ঘরোয়া ক্রিকেটে বরাবরই এরকম শট খেলার জন্য পরিচিত আরিফুল। তবে সমস্যা ছিল ধারাবাহিকতায়। একটি-দুটি নজরকাড়া ইনিংস খেলেই ঘুমিয়ে যেত তার ব্যাট। এবার বিপিএলের প্রথম ভাগে রেখেছেন ধারাবাহিকতার প্রমাণ। আগের ম্যাচটিতেই ২৫ বলে ৩৪ করেছিলেন ৩ ছক্কায়। এর আগে আরেক ম্যাচে ২৫ বলে ৪০ করেছিলেন চার ছক্কায়।
এবার এই ধারাবাহিকতার রহস্য তার ব্যাটিংয়ের একটি খুঁত ঠিক করে ফেলা। সেটি চিহ্নিত করে সারিয়েও দিয়েছেন খুলনার কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। লঙ্কান কিংবদন্তির পরামর্শ আরিফুলকে করেছেন শাণিত।
“আগে আমার ব্যালান্সে সমস্যা ছিল হয়ত। এবার মাহেলা আমার ব্যালান্স নিয়ে কাজ করেছেন। আমার ‘বডি ওয়েট’ পেছনে যেত মারার সময়। এবার সেটি নিয়ে কাজ করেছেন মাহেলা। সেটায় উপকার হয়েছে।”
কোচ তার ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন, আর তাকে মানসিক সমর্থন দিয়ে অফুরন্ত বিশ্বাস জুগিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
“রিয়াদ ভাই অনেক সমর্থন দিচ্ছেন। বলেছেন যে শেষ মৌসুমে অনেক ম্যাচে শেষ করে এসেছিস। অপরাজিত ছিলি বেশি, এবারও চিন্তা করবি অপরাজিত থাকার। অধিনায়কের কথা আমাকে সাহায্য করছে।”
এবার বিপিএলের আগে জাতীয় লিগের সবশেষ ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছেন। হোক অন্য সংস্করণ, তবু আত্মবিশ্বাসী ছিলেন রানের মধ্যে থাকায়।
“জাতীয় লিগ আর এটা আলাদা খেলা। কিন্তু আসলে পার্থক্য তেমন কিছু না। রান টানা করতে থাকলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।”
ঘরোয়া ক্রিকেটে এমনিতে তিনি অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নতুন বলেও বোলিং করেন নিয়মিতই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি ৪টি, উইকেটে ৭৯টি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন দুটি, উইকেট আছে ৪৭টি।
এক মৌসুম আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন। গত প্রিমিয়ার লিগেই আবার খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। আট-নয় নম্বরে নামানোয় ব্যাটিংয়ের সুযোগও অবশ্য খুব একটা পাননি।
গত কয়েক মৌসুমে বিভিন্ন সংস্করণে এরকম টুকরো টুকরো পারফর‌ম্যান্স ছিল। এবার বিপিএলে একটু ধারাবাহিক এখনও পর্যন্ত। ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে তার অপেক্ষায় হয়ত বড় পুরস্কার। কে জানে, হয়ত খুলে যাবে জাতীয় দলের দুয়ার। রঙিন পোশাকে ছয়-সাত নম্বরে এমন একজন ‘হিটার’ যে অনেক দিন ধরেই খুঁজছে বাংলাদেশ।

Comments

Popular posts from this blog

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...