ইশাম এল হাদারিকে তুলনা করতে পারেন মিসরীয় ফুটবলের গাছপাথর হিসেবে। নিজের দেশের ফুটবলে উত্থান দেখেছেন। দেখেছেন আরব-বসন্ত, ফুটবলের পিছিয়ে পড়া। কোচ আসতে দেখেছেন, যেতে দেখেছেন। একের পর এক প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছে আফ্রিকান নেশনসের অন্যতম সফল দেশটি। ক্যারিয়ারে প্রায় সব ধরনের অর্জন থাকলেও একটি অপূর্ণতা রয়েছে এল হাদারির মনে। সেটাই ঘুচিয়ে নিতে চান ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে।
এখনো বিশ্বকাপে খেলা হয়নি তাঁর। ১৯৯৬ সালে যখন তাঁর জাতীয় দলে অভিষেক হচ্ছে তখন তাঁর বর্তমান সতীর্থদের অনেকেরই জন্ম হয়নি। ২০০০-এর সময়টাতে আফ্রিকায় রাজত্ব করা মিসরীয় ফুটবল দলের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর দেশজুড়ে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ফুটবল তার গুরুত্ব হারিয়েছে। দেশের হয়ে ১৫৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মিসরের পক্ষে চারবার আফ্রিকান নেশনসের শিরোপা জিতেছেন তিনি। এর মধ্যে ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১০ সালে টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৭ আসরে, তাঁর ৪৪তম জন্মদিনের দুদিন পর, মিসরের হয়ে আবারও গোলবারের নিচে দাঁড়িয়েছেন এল হাদারি। সবচেয়ে বেশি বয়সে আফ্রিকান নেশনসে খেলা ফুটবলার হয়েছেন তিনি।
এল হাদারি জানেন, অচিরেই খেলাটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। হয়তো এ কারণেই ক্যারিয়ারে তাঁর চাওয়াটা তিনি খুব ভালো জানেন। এ বছরের শুরুতে তিনি বলেছেন, ‘আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে আমি প্রায় সবকিছুই জিতেছি। ৩৭টি ট্রফি জিতেছি, মনে রাখার মতো কিছু মুহূর্ত পেয়েছি, যেমন ২০০৯ সালে কনফেডারেশনস কাপে ইতালির বিপক্ষে আমাদের জয়। আমার অপূর্ণতা একটাই, বিশ্বকাপে খেলা।’ ফুটবল শেষ পর্যন্ত তাঁর সামনে সেই সুযোগও করে দিয়েছে।
গত মাসে মোহাম্মদ সালাহর পেনাল্টি গোলে মিসর যখন চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করছে, তখনো গ্লাভস হাতে মাঠে ছিলেন তিনি। ইনজুরি বাগড়া না দিলে বিশ্বকাপেও খেলবেন। আর রাশিয়া বিশ্বকাপে মাঠে নামলেই ছাড়িয়ে যাবেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ফারিদ মনড্রাগনকে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ৪৩ বছর বয়সে মাঠে নেমেছিলেন, সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার তিনিই।
দলের বোঝা নন মোটেই, আবেগ কিংবা রেকর্ডের জন্য তাঁকে মিসর ফুটবল দলে রাখা হয় না। পুরো বাছাইপর্বেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমনকি ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সময়ও (৪৯ বছর) খেলা চালিয়ে যেতে চান এই ‘যুবা
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment