টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর রুপা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগপত্র গঠনের শুনানি আজ বুধবার হয়নি। আদালত আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করায় এমনটা হয়েছে। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নাছিমুল আক্তার বলেন, ২৫ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবদুল মান্নান অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আজ এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসামিদের আইনজীবী শামীম চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয় যে তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করবেন। এ জন্য সময় চান।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ কে এম নাছিমুল আক্তার এবং বাদী পক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান, আতাউর রহমান আজাদ সময় আবেদনের বিরোধিতা করেন। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন।
১৩ নভেম্বরও অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় সেদিন শুনানি হয়নি।
কারাগারে আটক এই মামলার আসামি ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) পুলিশ আজ আদালতে হাজির করে।
১৫ অক্টোবর পুলিশ বিচারিক হাকিম আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরের দিন বিচারিক হাকিম আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়।
২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকেরা ধর্ষণের পর হত্যা করে মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যান। পুলিশ ওই রাতেই লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরের দিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন।
রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তাঁরা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁরা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন। ৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তাঁর ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment