হাল ফিলের ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের। বোলাররা সেখানে কচুকাটাই হয়ে থাকেন।
টি-টোয়েন্টিতে ব্যাপারটা আরও বেশি করে চোখে পড়ে। আর তাই দলগুলোর
নির্ভরতার পাল্লাও ক্রমশ ব্যাটসম্যানুমখী। বাংলাদেশ দলও এর বাইরে নয়। তামিম
ইকবালের ভালো শুরু কিংবা মিডল অর্ডারে দু-একজন দাঁড়িয়ে গেলে আমরা জয়ের
স্বপ্ন দেখি। বোলারদের ওপর সেই আস্থা তৈরি হলেও তা এখনো শক্ত ভিত্তি
পায়নি। কিন্তু বিপিএলের পরিসংখ্যান বলছে উল্টো কথা।
সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে আবারও ঢাকায় ফিরছে বিপিএল। এখনো নিজেদের
মধ্যে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের লড়াইয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পেছনে
পড়ে গেছেন বোলারদের। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষ পাঁচজনই
বাংলাদেশের বোলার! অথচ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে
বাংলাদেশি মাত্র একজন! তিনি আবার সাকিব-তামিম-মুশফিক কেউই নন;
মাহমুদউল্লাহ।
৯ ম্যাচে ৩২২ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে রংপুর রাইডার্সের রবি বোপারা। সমান ম্যাচে তাঁর থেকে ২ রান পিছিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের এভিন লুইস। চিটাগং ভাইকিংসের লুক রনকি ২৭৩ (৯ ম্যাচ) রান নিয়ে তৃতীয়। খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তাঁর থেকে ঠিক ১০ রান পিছিয়ে চতুর্থ। শীর্ষ দশে জায়গা করে নেওয়া চার বাংলাদেশি হচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস (২৪৯ রান নিয়ে ষষ্ঠ) মোহাম্মদ মিথুন (২৩০ রান নিয়ে অষ্টম) এবং তামিম ইকবাল (২০৭ রান নিয়ে নবম)। চোটের কারণে কুমিল্লার হয়ে শুরুতে তিন ম্যাচ খেলেননি তামিম।ব্যাটিংয়ে সাকিবের ব্যর্থতা বেশ চোখ লাগছে। মুশফিকও ব্যর্থ। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টির সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের ব্যাট এবার কোনোভাবেই কথা বলছে না। ৯ ম্যাচে ১৬.৫৭ গড়ে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১১৬! ব্যাটিংয়ে শীর্ষ কুড়ি দূরের কথা; শীর্ষ ত্রিশ রান সংগ্রাহকের মধ্যেও সাকিব ঠাঁই করে নিতে পারেননি। টেকনিক্যালি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকের ব্যাট তাঁর নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। ১০ ম্যাচে ২১.২৫ গড়ে ১৭০ রান মুশফিকের নামের পাশে বেশ বেমানান। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মুশফিক-সাকিবদের কেউ এখনো ব্যাট হাতে দলকে জেতানোর মতো সে রকম কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। কে জানে, সেটা হয়তো দেখা যাবে অচিরে সাকিব অবশ্য বল হাতে ব্যাটিংয়ের একদম উল্টো। ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের মধ্যে দ্বিতীয়। এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের সবচেয়ে সন্তুষ্টির জায়গা হলো শীর্ষ পাঁচ বোলারের সবাই বাংলাদেশি—আবু জায়েদ রাহি (৯ ম্যাচে ১৫ উইকেট), সাকিব আল হাসান (৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট), তাসকিন আহমেদ (৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট), আবু হায়দার রনি (৯ ম্যাচে ১২ উইকেট) এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (৯ ম্যাচে ১২ উইকেট)। শীর্ষ দশে জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশের বাকি দুই বোলার হলেন শফিউল ইসলাম (৮ ম্যাচে ১১ উইকেট) এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা (৯ ম্যাচে ১০ উইকেট)।
অর্থাৎ, বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব পর্যন্ত দেশিদের পারফরম্যান্সের খেরোখাতায় ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন বোলাররা। এখন ঢাকা পর্বের অপেক্ষা। কে জানে, প্লে-অফ রাউন্ড শুরুর আগে এই পর্বের আট ম্যাচে হয়তো পাশার দান পাল্টে দেবেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত এ কথা সত্য যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মান রেখে চলছেন বোলাররা!

৯ ম্যাচে ৩২২ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে রংপুর রাইডার্সের রবি বোপারা। সমান ম্যাচে তাঁর থেকে ২ রান পিছিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের এভিন লুইস। চিটাগং ভাইকিংসের লুক রনকি ২৭৩ (৯ ম্যাচ) রান নিয়ে তৃতীয়। খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তাঁর থেকে ঠিক ১০ রান পিছিয়ে চতুর্থ। শীর্ষ দশে জায়গা করে নেওয়া চার বাংলাদেশি হচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েস (২৪৯ রান নিয়ে ষষ্ঠ) মোহাম্মদ মিথুন (২৩০ রান নিয়ে অষ্টম) এবং তামিম ইকবাল (২০৭ রান নিয়ে নবম)। চোটের কারণে কুমিল্লার হয়ে শুরুতে তিন ম্যাচ খেলেননি তামিম।ব্যাটিংয়ে সাকিবের ব্যর্থতা বেশ চোখ লাগছে। মুশফিকও ব্যর্থ। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টির সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের ব্যাট এবার কোনোভাবেই কথা বলছে না। ৯ ম্যাচে ১৬.৫৭ গড়ে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১১৬! ব্যাটিংয়ে শীর্ষ কুড়ি দূরের কথা; শীর্ষ ত্রিশ রান সংগ্রাহকের মধ্যেও সাকিব ঠাঁই করে নিতে পারেননি। টেকনিক্যালি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকের ব্যাট তাঁর নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। ১০ ম্যাচে ২১.২৫ গড়ে ১৭০ রান মুশফিকের নামের পাশে বেশ বেমানান। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মুশফিক-সাকিবদের কেউ এখনো ব্যাট হাতে দলকে জেতানোর মতো সে রকম কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। কে জানে, সেটা হয়তো দেখা যাবে অচিরে সাকিব অবশ্য বল হাতে ব্যাটিংয়ের একদম উল্টো। ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের মধ্যে দ্বিতীয়। এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের সবচেয়ে সন্তুষ্টির জায়গা হলো শীর্ষ পাঁচ বোলারের সবাই বাংলাদেশি—আবু জায়েদ রাহি (৯ ম্যাচে ১৫ উইকেট), সাকিব আল হাসান (৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট), তাসকিন আহমেদ (৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট), আবু হায়দার রনি (৯ ম্যাচে ১২ উইকেট) এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (৯ ম্যাচে ১২ উইকেট)। শীর্ষ দশে জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশের বাকি দুই বোলার হলেন শফিউল ইসলাম (৮ ম্যাচে ১১ উইকেট) এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা (৯ ম্যাচে ১০ উইকেট)।
অর্থাৎ, বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব পর্যন্ত দেশিদের পারফরম্যান্সের খেরোখাতায় ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন বোলাররা। এখন ঢাকা পর্বের অপেক্ষা। কে জানে, প্লে-অফ রাউন্ড শুরুর আগে এই পর্বের আট ম্যাচে হয়তো পাশার দান পাল্টে দেবেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত এ কথা সত্য যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মান রেখে চলছেন বোলাররা!
Comments
Post a Comment