তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ চারজনের একটি দল পুলিশ লাইনসে গিয়ে কাঠের বক্স থেকে শাবকগুলো লোহার খাঁচায় স্থানান্তর করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার বিভাগীয় কর্মকর্তা মদিনুল আহসানের নেতৃত্বে আরেকটি দল যশোরে পৌঁছায়। মদিনুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া চারটি বন্য প্রাণীর মধ্যে দুটি লেপার্ড (চিতাবাঘ বলে পরিচিত) শাবক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপর দুটি সিংহের শাবকের মতো দেখতে। যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য শাবক দুটি ঢাকায় পাঠানো হবে। লেপার্ড দুটি এক থেকে দেড় মাস ও সিংহের মতো দেখতে শাবক দুটি দুই থেকে আড়াই মাস বয়সের বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
মদিনুল আহসান আরও বলেন, বন্য প্রাণীগুলো সুন্দরবনের নয়—এটা অনেকটা নিশ্চিত। কারণ, বাংলাদেশে সিংহ ও চিতাবাঘের অস্তিত্ব নেই। কোথা থেকে কীভাবে এগুলো আনা হয়েছে, সেটি তদন্তের বিষয়। প্রাণীগুলো আদালতে পাঠানো হচ্ছে। আদালত যদি এগুলো বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অধীনে দেন, তাহলে ঢাকার গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানো হবে।
মদিনুল আহসান আরও বলেন, বন্য প্রাণীগুলো সুন্দরবনের নয়—এটা অনেকটা নিশ্চিত। কারণ, বাংলাদেশে সিংহ ও চিতাবাঘের অস্তিত্ব নেই। কোথা থেকে কীভাবে এগুলো আনা হয়েছে, সেটি তদন্তের বিষয়। প্রাণীগুলো আদালতে পাঠানো হচ্ছে। আদালত যদি এগুলো বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অধীনে দেন, তাহলে ঢাকার গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানো হবে।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) যশোর কার্যালয় সূত্র জানায়, যে গাড়ি থেকে বাঘ-সিংহের শাবকগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেটির মালিক ঢাকার বনানী এলাকার মেসার্স স্টার গোন্ড ইন্টারন্যাশনালের মো. খাজা মঈনুদ্দিন। প্রতিষ্ঠানটি বনানীর কাকলী এলাকার নিউ এয়ারপোর্ট সড়কের ৯২/২ নম্বর বাড়ির হাজি টাওয়ারের পঞ্চম তলায় অবস্থিত। গাড়ির কাগজপত্রে দুটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। ওই নম্বর দুটির একটিতে ফোন দিলে একজন নারী বলেন, ‘প্রাডো মডেলের আমাদের কোনো গাড়ি নেই। আপনার নম্বর তুলতে হয়তো ভুল হয়েছে।’ দ্বিতীয় নম্বরটিতে ফোন দিলে একজন পুরুষ ফোন ধরে একই কথা বলেন।
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment