Skip to main content

১৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন কুলদীপ!

ইতিহাস গড়েছেন কদিন আগেই। প্রথম চায়নাম্যান বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেছেন কুলদীপ যাদব। কিন্তু এমন ইতিহাস হয়তো লেখাই হতো না। দলে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই নাকি আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন এই বাঁহাতি লেগ স্পিনার! 
২২ বছর বয়সী কানপুরের এই বোলার একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হ্যাটট্রিক করেছেন। এর চেয়েও বড় কীর্তি তো আগেই বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত সহজে এমন সাফল্য পাননি। তাঁকে ব্যর্থতা দেখতে হয়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হয়েছে। ১৩ বছর বয়সে উত্তর প্রদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দলে সুযোগ হয়নি তাঁর। 
হিন্দুস্তান টাইমস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজের সেই সময়ের কথা জানিয়েছেন কুলদীপ, ‘দলে টেকার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছিলাম। কিন্তু তারপরও যখন টিকলাম না, তখন হতাশ হয়ে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম। অমন সময়ে সবার ক্ষেত্রেই সেটা হতে পারে।’
অথচ ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নও সেভাবে দেখতেন না কুলদীপ। এভাবে ক্রিকেটার হওয়ার তীব্র ইচ্ছেটা বুনে দিয়েছেন তাঁর বাবা, ‘আমি মেধাবী ছাত্র ছিলাম এবং ক্রিকেটকে মজা হিসেবেই নিতে চেয়েছিলাম। পেশা হিসেবে নেব, এটা কখনোই ভাবিনি। সত্যি হলো, আমার বাবাই চেয়েছিল ক্রিকেট খেলি এবং কোচের কাছে নিয়ে গিয়েছে।’ 
আর ক্রিকেটার হিসেবে তিনি যেটা বেছে নিয়েছেন, সেটাও কিন্তু বিস্ময়কর। বাঁহাতি লেগ স্পিন তো হারিয়ে যাওয়া এক শিল্পে রূপ নিয়েছিল। খুব কম কিশোরই এই কঠিন শিল্প আয়ত্ত করার চেষ্টা করে, ‘আমি পেসার হতে চেয়েছিলাম কিন্তু কোচ আমাকে স্পিনার হতে বাধ্য করেছেন। যখন আমি কয়েকটা বল করলাম (বাঁ হাতি লেগ স্পিন), আমাকে এটা অভ্যাস করতে বলা হলো। না হলে জানতামই না ভিন্ন কিছু করছি।’ 
একসময় ওয়াসিম আকরামকে গুরু মানা কুলদীপ তাই নতুন এক আদর্শ খুঁজে নিলেন। বাঁহাতি হোন কিংবা ডান হাতি, এ যুগের লেগ স্পিনারদের জন্য খুব সহজাত পছন্দ শেন ওয়ার্ন। এখনো ওয়ার্নের ভিডিও দেখে নিজের উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, ‘আমি নিয়মিত ওয়ার্নের ভিডিও দেখি। তাঁর বল ধরা, যে লেংথে বল করতেন এবং যেভাবে ক্রিজ ব্যবহার করতেন, সেটা অতুলনীয়। আমি ভিডিও দেখে শেখার চেষ্টা করি।’ 

Comments

Popular posts from this blog

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...