জীবনে চলতে-ফিরতে যেসব আইনি জটিলতায়পড়তে হয়, পাঠকের উকিল বিভাগে তারই সমাধান পাওয়া যাবে। এ বিভাগে আইনি সমস্যার সমাধান দেবেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদ মাহতাব। স্পষ্ট করে নিজের সমস্যা লিখে পাঠান। প্রয়োজনীয় কাগজের অনুলিপি দিন।খামের ওপর লিখুন: পাঠকের উকিল, নকশা, দৈনিক প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা। এ ছাড়া naksha@prothom-alo.info এই ঠিকানায়ই-মেইল করেও সমস্যার কথা জানাতে পারেন
* আমার নাম তরিকুল ইসলাম। কিন্তু স্কুলে কম্পিউটার টাইপের ভুলের কারণে জেএসসি (২০১৩) ও এসএসসির (২০১৬) সনদপত্রে এবং এইচএসসির (২০১৮) কাগজপত্র আমার নাম হয়ে যায় তোতা মিয়া। এখন আমি কীভাবে এটা বদলে আমার আসল নাম তরিকুল ইসলাম করব? যেন সরকারি চাকরিতে কোনো সমস্যা না হয়। কী কী কাগজ বা প্রমাণ লাগবে?
তরিকুল ইসলাম * আপনি নির্দিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে আপনার নাম সংশোধনের দরখাস্ত করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার জন্মসনদ, জন্মনিবন্ধন এবং মিউনিসিপ্যালিটি থেকে আপনার আসল নামের ঘোষণাপত্র প্রয়োজন হবে। বোর্ডে সাধারণত নাম সংশোধনের নির্দিষ্ট ফরম থাকে। যাবতীয় তথ্যাদি দিয়ে ফরমটি পূরণ করে নাম সংশোধন করা সম্ভব।
* আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় ওই সময় বিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা কাবিন করা হয়নি। বিয়ের পরে আমি জানতে পারি, মেয়েটির বিয়ের আগে অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এমনকি বড় দুই বোনের স্বামীর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল। আমি তাকে তালাক দিতে চাইলে মেয়ে ও তার বাবা-মা আমার কাছে ক্ষমা চায়। তখন এই বলে প্রতিজ্ঞা করে যে সে আর অন্য কোনো সম্পর্ক করবে না। করলে আমি তাকে যে শাস্তি দেব, তা সে মেনে নেবে।
তরিকুল ইসলাম * আপনি নির্দিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে আপনার নাম সংশোধনের দরখাস্ত করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার জন্মসনদ, জন্মনিবন্ধন এবং মিউনিসিপ্যালিটি থেকে আপনার আসল নামের ঘোষণাপত্র প্রয়োজন হবে। বোর্ডে সাধারণত নাম সংশোধনের নির্দিষ্ট ফরম থাকে। যাবতীয় তথ্যাদি দিয়ে ফরমটি পূরণ করে নাম সংশোধন করা সম্ভব।
* আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় ওই সময় বিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা কাবিন করা হয়নি। বিয়ের পরে আমি জানতে পারি, মেয়েটির বিয়ের আগে অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এমনকি বড় দুই বোনের স্বামীর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল। আমি তাকে তালাক দিতে চাইলে মেয়ে ও তার বাবা-মা আমার কাছে ক্ষমা চায়। তখন এই বলে প্রতিজ্ঞা করে যে সে আর অন্য কোনো সম্পর্ক করবে না। করলে আমি তাকে যে শাস্তি দেব, তা সে মেনে নেবে।
২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট আমাদের এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমি তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করছি। জানতে পারি, আমার ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে সে আবার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এবং সেটা সে নিজ মুখে আমার কাছে স্বীকার করে।
আমি তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চাইছি না। কিন্তু সমস্যা হলো, যেহেতু বিয়েটা রেজিস্ট্রেশন বা কাবিন করে হয়নি, শুধু একটি সাদা কাগজে এক লাখ টাকা দেনমোহর উল্লেখ করে দুই পরিবারের সম্মতিতে সম্পন্ন হয়েছিল, তাই আইনিভাবে আমি তাকে কীভাবে তালাক দেব?
মো. ফয়সাল, ঢাকা
* আপনার বিয়েটি রেজিস্ট্রেশন করা বাঞ্ছনীয়। যেহেতু সাক্ষীর সামনে বিয়েটি সম্পাদিত হয়েছে, সেহেতু বর্তমানে আপনি আপনার বিয়েটি কাজির কাছে রেজিস্ট্রেশন করবেন। রেজিস্ট্রেশনের পর আপনার নিয়মমাফিক তালাক প্রদানে কোনো বাধা নেই। তবে কাবিননামার অর্থ এবং সন্তানের খোরপোশ দিতে আপনি বাধ্য। তালাক চলাকালীন আপনাকে মেয়েটির খোরপোশও দিতে হবে।
আমি তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চাইছি না। কিন্তু সমস্যা হলো, যেহেতু বিয়েটা রেজিস্ট্রেশন বা কাবিন করে হয়নি, শুধু একটি সাদা কাগজে এক লাখ টাকা দেনমোহর উল্লেখ করে দুই পরিবারের সম্মতিতে সম্পন্ন হয়েছিল, তাই আইনিভাবে আমি তাকে কীভাবে তালাক দেব?
মো. ফয়সাল, ঢাকা
* আপনার বিয়েটি রেজিস্ট্রেশন করা বাঞ্ছনীয়। যেহেতু সাক্ষীর সামনে বিয়েটি সম্পাদিত হয়েছে, সেহেতু বর্তমানে আপনি আপনার বিয়েটি কাজির কাছে রেজিস্ট্রেশন করবেন। রেজিস্ট্রেশনের পর আপনার নিয়মমাফিক তালাক প্রদানে কোনো বাধা নেই। তবে কাবিননামার অর্থ এবং সন্তানের খোরপোশ দিতে আপনি বাধ্য। তালাক চলাকালীন আপনাকে মেয়েটির খোরপোশও দিতে হবে।
* আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ২০০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের জন্য উত্তরা থানায় মামলা করি। কিন্তু এখনো এর কোনো বিচার পাইনি। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল আমার মাকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের জন্য সাটুরিয়া থানায় (মানিকগঞ্জ) মামলা করি। গত ২৬ এপ্রিল একজন ১৬৪ ধারায় সাক্ষী প্রদান করে। সে সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করলে তাঁদের একজন গত ১৫ জুন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি আসামিদের নাম বলেন এবং কে কীভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা-ও বলেন। কিন্তু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর যেসব আসামির নাম বলা হয়, তাঁরা সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে যান। এখন কোনো আসামি জেলহাজতে নেই। এখনো মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) প্রদান করা হয়নি। আমি একটি সমাধান চাচ্ছি, যাতে সব আসামিকে জেলে রেখে বিচারকাজ পরিচালনা করা যায়।
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
* আসামিরা ওই মামলায় বেল বা জামিন পাওয়ায় মামলাটি শেষ হয়ে যায়নি। জেলে না থাকলেও মামলাটি চলতে থাকবে। এখন আপনার করণীয় মামলাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। আসামিরা জামিনে থাকা অবস্থায় মামলা চলবে। তবে আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে আসামিরা জামিনের অপব্যবহার করছেন এবং তাঁরা বিচারকাজে বাধা সৃষ্টি করছেন, সে ক্ষেত্রে আপনি জামিন বাতিলের প্রার্থনা করে জেলহাজতে দরখাস্ত করতে পারেন।
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
* আসামিরা ওই মামলায় বেল বা জামিন পাওয়ায় মামলাটি শেষ হয়ে যায়নি। জেলে না থাকলেও মামলাটি চলতে থাকবে। এখন আপনার করণীয় মামলাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। আসামিরা জামিনে থাকা অবস্থায় মামলা চলবে। তবে আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে আসামিরা জামিনের অপব্যবহার করছেন এবং তাঁরা বিচারকাজে বাধা সৃষ্টি করছেন, সে ক্ষেত্রে আপনি জামিন বাতিলের প্রার্থনা করে জেলহাজতে দরখাস্ত করতে পারেন।
* দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পারিবারিক স্ট্যাটাসের দোহাই দিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিয়ের আসরে ১০ লাখ টাকা কাবিন করান। আমি বেকার বলে বিয়ের পর থেকেই আমার শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে তাঁদের বাড়িতে আটকে রাখেন এবং আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীর দেখা ও মেলামেশায় বাধার সৃষ্টি করেন। এতে আমার স্ত্রীরও সায় আছে।
আমি এখন সরকারি কর্মকর্তা। এখন আমি আমার স্ত্রীকে আমার কাছে নিয়ে আসতে চাইলে এবং আমার পরিবার থেকে বউ উঠিয়ে আনার প্রস্তাব দিলে আমার শাশুড়ি নানা বাহানা করছেন। প্রসঙ্গত আমার শ্বশুর বছরখানেক আগে মারা গেছেন। এখন জানা যাচ্ছে যে আমার স্ত্রীর এর আগে বিয়ে হয়েছিল এবং সেই বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায়ই আমার সঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। আমাদের বিয়ের আট দিন পরে পেছনের তারিখ উল্লেখ করে আমার স্ত্রীকে দিয়ে তার আগের স্বামীকে তালাক দেওয়া হয়। তার কিছু প্রমাণ আমার হাতে আছে। আমার স্ত্রীও তাঁর মায়ের কথার বাইরে আমার কাছে আসতে রাজি নয়। এ ক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
* বিবাহিত অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ আইনগতভাবে অবৈধ। সুতরাং আরেকজনের বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে আপনার বিয়ের কোনো বৈধতা নেই। নির্দিষ্ট নিয়মে তালাক প্রদানের পর আপনি ওই নারীকে পুনরায় বিবাহ করতে পারেন। এই তালাক প্রদানে তিন মাস সময় প্রয়োজন। তবে বিবাহ বলবৎ থাকাকালীন আপনার সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ প্রমাণ করার দায়িত্ব আপনার।
আমি এখন সরকারি কর্মকর্তা। এখন আমি আমার স্ত্রীকে আমার কাছে নিয়ে আসতে চাইলে এবং আমার পরিবার থেকে বউ উঠিয়ে আনার প্রস্তাব দিলে আমার শাশুড়ি নানা বাহানা করছেন। প্রসঙ্গত আমার শ্বশুর বছরখানেক আগে মারা গেছেন। এখন জানা যাচ্ছে যে আমার স্ত্রীর এর আগে বিয়ে হয়েছিল এবং সেই বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায়ই আমার সঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। আমাদের বিয়ের আট দিন পরে পেছনের তারিখ উল্লেখ করে আমার স্ত্রীকে দিয়ে তার আগের স্বামীকে তালাক দেওয়া হয়। তার কিছু প্রমাণ আমার হাতে আছে। আমার স্ত্রীও তাঁর মায়ের কথার বাইরে আমার কাছে আসতে রাজি নয়। এ ক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
* বিবাহিত অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ আইনগতভাবে অবৈধ। সুতরাং আরেকজনের বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে আপনার বিয়ের কোনো বৈধতা নেই। নির্দিষ্ট নিয়মে তালাক প্রদানের পর আপনি ওই নারীকে পুনরায় বিবাহ করতে পারেন। এই তালাক প্রদানে তিন মাস সময় প্রয়োজন। তবে বিবাহ বলবৎ থাকাকালীন আপনার সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ প্রমাণ করার দায়িত্ব আপনার।
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment