Skip to main content

নাসিরদের জরিমানা

জরিমানার কবলে পড়ল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেটের ফ্রাঞ্চাইজি স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স। স্লো ওভার রেটের কারণে সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন ও দলের অন্য খেলোয়াড়দের জরিমানা করা হয়েছে। নাসিরকে ম্যাচ ফি’র ৪০ শতাংশ এবং দলের অন্য খেলোয়াড়দের ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বিপিএলের ষষ্ঠ ম্যাচে রাজশাহী কিংসের মুখোমুখি হয়েছিলো সিলেট সিক্সার্স। ৩৩ রানে ম্যাচও জিতেছিলো তারা। তবে ম্যাচ শেষে দুঃসংবাদই শুনতে হলো তাদের। ২ ওভার বেশি সময় নিয়ে ইনিংস শেষ করায় জরিমানার কবলে পড়লো সিলেট।
তাই অধিনায়ক নাসিরকে ৪০ শতাংশ এবং দলের অন্য খেলোয়াড়দের ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। অনফিল্ড দুই আম্পায়ার আনিসুর রহমান, রিয়াজ উদ্দিন, তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকত ও চতুর্থ আম্পায়ার মনিরুজ্জামান টিংকুর সহায়তায় এই জরিমানা ধার্য করেন ম্যাচ রেফারি রাহুল নিয়ামুর রশিদ।
নাসির তার দোষ স্বীকার করে নেয়ায় কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেটের পঞ্চম আসরে প্রথম জয়ের মুখ দেখলো চিটাগং ভাইকিংস। চলতি টুর্নামেন্টের সপ্তম ও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং ১১ রানে হারায় মাশরাফির রংপুর রাইডার্সকে। পক্ষান্তরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম হারের স্বাদ পেলো রংপুর।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে চিটাগংকে ব্যাটিং-এ আমন্ত্রণ জানায় রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুরুতে ব্যাটিং-এ নেমে রংপুর বোলারদের উপর মারমুখি মেজাজ ধারণ করেন উইকেটরক্ষক নিউজিল্যান্ডের লুক রঞ্চি। মাশরাফির করা প্রথম ওভার থেকে দু’টি ছক্কায় ১২ রান তুলে নেন রঞ্চি।
দ্বিতীয় ওভারে সোহাগ গাজীর ওভার থেকে তিনটি বাউন্ডারি তুলে নেন রঞ্চি। এরপর তৃতীয় ওভারে নাজমুল ইসলামের ওভার থেকে ৩টি ছক্কা ও এক বাউন্ডারি হাঁকান রঞ্চি। তাতে ৩ ওভার শেষে বিনা উইকেটে চিটাগং-এর রান অর্ধশতক স্পর্শ করে। বিপিএলের ইতিহাসে দ্রুত ৫০ রান করা দল হিসেবে নাম লেখায় চিটাগং। এ সময় রঞ্চির রান ছিল ১৬ বলে ৪৮ ও আরেক ওপেনার সৌম্যর রান ছিল ২।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রঞ্চি। মাত্র ১৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পান এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। বিপিএলের ইতিহাসে এটি তৃতীয় দ্রুত হাফ-সেঞ্চুরি।
রঞ্চির হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হবার পরের ওভারেই আউট হয়ে যান সৌম্য। রংপুর অধিনায়ক মাশরাফির শিকার হন তিনি। করেন ৭ বলে ৭ রান।
সৌম্যর বিদায়ের ক্রিজে রঞ্চির সঙ্গী হন শ্রীলংকার দিলশান মুনাবীরা। দ্বিতীয় উইকেটেও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তারা। ফলে ৬ ওভারেই ৬৯ রান পেয়ে যায় রংপুর। এমন অবস্থায় বড় স্কোরের স্বপ্নে বিভোর ছিলো চিটাগং।
কিন্তু ১০ দশমিক ২ ওভারে দলীয় ৯৯ রানে রঞ্চি ও ১১৩ রানে মুনাবীরাকে তুলে নিয়ে চিটাগং-এর রানের লাগাম টেনে ধরার পথ তৈরি করেন রংপুরের ইংলিশ খেলোয়াড় রবি বোপারা। ৭টি করে চার ও ছক্কায় মাত্র ৩৫ বলে ৭৮ রান করেন রঞ্চি। ১৭ বলে ২০ রান করে আউট হন মুনাবীরা।
রঞ্চি ও মুনাবীরার আউটের পর শেষের ৫৮ বল থেকে মাত্র ৫৩ রান যোগ করতে পারে চিটাগং। এ জন্য বাহ্বা পাওয়ার যোগ্য রংপুরের বোলাররা। বিশেষভাবে রংপুরের মালিঙ্গা। স্লগ ওভারে ২ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়েছেন তিনি। শেষ দিকে চিটাগং-এর মিসবাহ উল হক ৩২ বলে অপরাজিত ৩১ ও আনামুল হক ১৪ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন। রংপুরের বোপারা ২টি উইকেট নেন।
১৬৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রংপুরের। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চালর্সকে হারায় তারা। ১ রান করে ফিরেন তিনি। এরপর প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মেইকশিপ্ট ওপেনার জিয়াউর রহমান ও উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুন। জুটিতে ১৮ রান যোগ করেন তারা। ৪ বলে ১১ রান করে থামেন জিয়াউর।
২০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মিডল-অর্ডারে দলের হাল ধরেন মিথুন, ইংল্যান্ডের রবি বোপারা ও শাহরিয়ার নাফীস। তিন জনের ছোট ছোট ইনিংসের কল্যাণে ১২ ওভারেই শতরান পেয়ে যায় রংপুর।
তবে ১৩তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগংকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। নাফীসকে ২৬ ও আফগানিস্তানের সামিউল্লাহ সেনেওয়ারিকে ০ শুন্য রানে শিকার করেন তিনি। নিজে দুই উইকেট নেয়ার পর ওই ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত দক্ষতায় উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া বোপারাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। ৩২ বলে ৩৮ রান করেন বোপারা।
১০৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া রংপুর। পরবর্তীতে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৫৫ রান করতে পারে রংপুর। চিটাগং-এর তাসকিন ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
চিটাগং ভাইকিংস : ১৬৬/৪, ২০ ওভার (রঞ্চি ৭৮, মিসবাহ ৩১*, বোপারা ২/১৪)।
রংপুর রাইডার্স : ১৫৫/৮, ২০ ওভার (বোপারা ৩৮, নাফীস ২৬, তাসকিন ৩/৩১)।
ফল : চিটাগং ভাইকিংস ১১ রানে জয়ী।

Comments

Popular posts from this blog

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...