বগুড়ায় ভালো কলেজে ভর্তির নাম করে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে পিতার জিম্মায় এবং তার মাকে সাপোর্ট সেন্টার থেকে নিজ জিম্মায় দেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। তাদের পক্ষে আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার শুনানি শেষে কিশোরীকে তার পিতার জিম্মায় এবং মাকে নিজ জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- ১ ও শিশু আদালতের বিচারক মোঃ এমদাদুল হক। ৩০ অক্টোবর ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পিতা ইয়াকুব আলী তার মেয়েকে নিজ জিম্মায় নেয়ার জন্য আবেদন করলে শুনানি শেষে বুধবার এই আদেশ দেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেন্স) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, নির্যাতিত কিশোরীর পিতা রাজশাহী সেফ হোম থেকে নিজের জিম্মায় নেয়ার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আর কিশোরীর মাকে নিজ জিম্মায় দেয়ার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে ভালো কলেজে ভর্তি করার নাম করে ডেকে নিয়ে বগুড়া শহর শ্রমিকলীগের আহবায়ক তুফান সরকার নিজ বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এই ঘটনার বিচার করে দেয়ার নাম করে ২৮ জুলাই তুফানের পরিবারের লোকজনসহ সহযোগীরা মেয়ে ও মাকে মারপিট করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ ধর্ষক তুফানসহ নির্যাতনকারী মহিলা কাউন্সিলর রুমকিসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে চার্জশিট গ্রহনের ব্যাপারে এখনও শুনানি হয়নি। আদালতের নির্দেশে কিশোরী ও তার মাকে সে সময় রাজশাহী সেফহোমে পাঠানো হয়।
প্রধান আসামি তুফানসহ অপর আসামিরা বগুড়া জেলা কারাগারে আটক রয়েছে।
Comments
Post a Comment