এক ছাত্রীর হারানো টাকা খুঁজে পেতে অপর দুই ছাত্রীকে সম্পূর্ণ নগ্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের দামোহ জেলার রানি দুর্গাবতী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করে হয়রানির শিকার ওই দুই ছাত্রী।
জানা যায়, স্কুলের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ৯০ টাকা (৭০ রুপি) হারিয়ে যায়। খুঁজে না পেয়ে সরাসরি এক শিক্ষিকার দ্বারস্থ হয় সে। অভিযোগ পেয়ে সব শিক্ষার্থীর ব্যাগ তল্লাশি করে দেখেন ওই শিক্ষিকা। তারপরও কিছু না পেয়ে তল্লাশির নামে ওই শ্রেণির দুই ছাত্রীকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করেন তিনি।
অভিযোগকারী ছাত্রীরা জানায়, জয়তী গুপ্তা নামের ওই শিক্ষিকা তল্লাশির জন্য তাদের সব পোশাক খুলতে বাধ্য করে। অর্থ উদ্ধার করতে না পেরে একপর্যায়ে তিনি জাদুবিদ্যার আশ্রয় নেওয়ারও হুমকি দেন। তবে ছাত্রীদের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়তী গুপ্তা।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজব সিং ঠাকুর বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি তার নজরে আনা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে দুজন প্রধান শিক্ষিকাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রীদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন শিক্ষক
আজব কাণ্ড করেছেন আসামের এক স্কুলশিক্ষক। মেয়ের বয়সি ছোট ছোট ছাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত আপত্তিকর ভঙ্গিতে ছবি তুলে অনলাইনে দিয়েছেন তিনি।
আজব কাণ্ড করেছেন আসামের এক স্কুলশিক্ষক। মেয়ের বয়সি ছোট ছোট ছাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত আপত্তিকর ভঙ্গিতে ছবি তুলে অনলাইনে দিয়েছেন তিনি।
ক্লাসরুমে বসে যেভাবে তিনি ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন, তাতে প্রশ্ন উঠেছে, ছবিগুলো তুলে দিল কে। স্কুল কর্তৃপক্ষই বা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন।
আসামের কাতলিচেরা শহরের মডেল হাই স্কুলে ঘটেছে এই ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ফৈজুদ্দিন লস্কর। জানা গেছে, এর আগেও বহুবার এমন কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ছাত্রীদের বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জেরা করেছে পুলিশ।
ফৈজুদ্দিন তার প্রোফাইলে ছবিগুলো পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলেও এ নিয়ে রিপোর্ট করা হয়।
জানা গেছে, এর আগেও এক মহিলার শ্লীলতাহানি করতে গিয়ে ধরা পড়েন ফৈজুদ্দিন, গণধোলাই খান, একটি আঙুলও কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু ছবিতে স্পষ্ট, তার চরিত্র এখনও শোধরায়নি।
রাতে ছাত্রীদের ফোন, গ্রেফতার প্রিন্সিপাল
ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে ভারতের একটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপালকে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। ছাত্রীদের হেনস্থার ঘটনা নিয়ে কলেজে ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। তারা প্রিন্সিপালকে মারধর করেন বলেও পুলিশ জানায়।
ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে ভারতের একটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপালকে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। ছাত্রীদের হেনস্থার ঘটনা নিয়ে কলেজে ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। তারা প্রিন্সিপালকে মারধর করেন বলেও পুলিশ জানায়।
সংশ্লিষ্ট ছাত্রীরা প্রতাপপুর থানায় প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ছাত্রীরা হোস্টেলে থাকেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।ওই ছাত্রীদের অভিযোগ, গত কয়েকমাস ধরেই প্রিন্সিপাল তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করছেন।
ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রিন্সিপাল কলেজ চলাকালীন টেলিফোন করে তাদের অফিসে ডেকে পাঠিয়ে নোংরা যৌনগন্ধী কথাবার্তা বলতে বাধ্য করেন। এমনকি প্রিন্সিপাল রাতেও তাদের ফোন করতেন বলে অভিযোগ।
ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
Comments
Post a Comment