তিন বছর আগেও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল এই স্কুলের বিরুদ্ধে। তখনও স্কুলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়টাও থিতিয়ে পড়ে।
তিন বছর পর আবার সেই একই অভিযোগ। সেই জি ডি বিড়লা স্কুল। এ বার অভিযুক্ত দুই পিটি শিক্ষক। আক্রান্ত চার বছরের ছাত্রী!
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রানিকুঠির এই স্কুল। অভিভাবকরা সেই নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। আগের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েও কেন স্কুলে সিসিটিভি বসানো হল না, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এত কিছুর পরেও কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুজব, রং চড়িয়ে বলা হচ্ছে— এ সব বলেই চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল!
বেলা যত গড়িয়েছে দুই শিক্ষকের শাস্তি দাবি তুলে বিক্ষোভ আরও তুঙ্গে উঠেছে। পুলিশ এসেও সামাল দিতে পারেনি। এরই মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে এ দিন ছাত্রীটির মেডিক্যাল টেস্ট হয়। টেস্টের রিপোর্টেও যৌন নির্যাতনের বিষয়টি উঠে আসে।
অভিযোগ, প্রথম দিকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রিপোর্টে যখন যৌন নির্যাতনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়, স্কুলের অধ্যক্ষা বিষয়টি কার্যত মেনে নেন যে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে স্কুলে। স্কুলে সিসিটিভি কেন নেই এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “স্কুলে সিসিটিভি লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছিল।”
প্রশ্ন উঠেছে, এত বড় একটা স্কুল, অথচ পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থাই নেই? উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা তাই বলছেন, এত টাকা খরচ করে নামী স্কুলে পড়তে পাঠাচ্ছেন তাঁরা। শিক্ষাঙ্গনে যদি এমন ভয়ানক কাণ্ড ঘটে, তা হলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত্ কী হবে?
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন এ দিন স্কুলে আসেন। তিনি বলেন, “সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখব সব স্কুলে যেন সিসিটিভি বসানো হয়।”
Comments
Post a Comment