৪০ বছর বয়সে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাঈদ আজমল। ক্যারিয়ারজুড়ে অসংখ্য বিতর্কের জন্ম দেওয়া এই স্পিনার অবসরের আগেও একহাত নিয়েছেন আইসিসি ও পিসিবিকে। তাঁর দাবি, অযথা বোলিংয়ের পরীক্ষা নিয়ে খেলোয়াড়ি দিনের সংখ্যা কমানো হয়েছে এই অফ স্পিনারের। একটি প্রশ্ন নিয়েও অবসরে যাচ্ছেন, ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কীভাবে বেঁচে গেলেন টেন্ডুলকার?
সেদিন ২৩ রানে থাকা টেন্ডুলকারকে এলবিডব্লু করেছিলেন আজমল। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান শচীন টেন্ডুলকার। সে রিভিউ দেখে ডিআরএসের বল ট্র্যাকিং পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সেদিন ৮৫ রান করে ভারতকে ফাইনালে তুলেছিলেন টেন্ডুলকারই। বিদায়বেলাতেও সে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন আজমল, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম ওকে আউট করেছি। ওকে স্টাম্পের সামনেই পেয়েছিলাম। কীভাবে আম্পায়াররা ওকে আউট দিল না, সেটা এখনো বুঝতে পারি না।’
৩৫ টেস্টে ১৭৮ উইকেট পাওয়া এই অফ স্পিনার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৪ সালে গল টেস্টে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই টেস্টেই দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর বোলিং পরীক্ষার জন্য রিপোর্ট করা হয়। তাঁর বোলিং অ্যাকশন প্রথম সন্দেহে পড়ে ২০০৯ সালে। আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আম্পায়ার তাঁর অ্যাকশনে সমস্যা খুঁজে পান।
৩৫ টেস্টে ১৭৮ উইকেট পাওয়া এই অফ স্পিনার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৪ সালে গল টেস্টে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই টেস্টেই দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর বোলিং পরীক্ষার জন্য রিপোর্ট করা হয়। তাঁর বোলিং অ্যাকশন প্রথম সন্দেহে পড়ে ২০০৯ সালে। আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আম্পায়ার তাঁর অ্যাকশনে সমস্যা খুঁজে পান।
নতুন খেলোয়াড়দের জায়গা করে দিতে ৪০ বছর বয়সে অবসরে যাচ্ছেন। তবে ক্যারিয়ারের অপূর্ণতার জন্য সরাসরি তিনি আইসিসিকে দায়ী করেছেন। ‘আমি আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিচ্ছি, কারণ আমি মনে করি, আইসিসি প্রটোকল অনেক নিষ্ঠুর। এখনকার বোলারদের যদি পরীক্ষা করা হয়, আমি নিশ্চিত শতকরা ৯০ ভাগই ফেল করবেন।’ ক্যারিয়ারে দুইবার অ্যাকশনের পরীক্ষা দেওয়ায় তাঁর বোলিং ক্যারিয়ার লম্বা হয়নি। যদিও শুরুতে এসেই দুসরা বোলিংয়ের ঝলকে ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও ছাড়েননি আজমল। তিনি বলেছেন, ‘অ্যাকশন চ্যালেঞ্জ করার পর পিসিবি আমার পাশে ছিল কিন্তু আমার মনে হয়, তারা এ ব্যাপারটা নিয়ে আরও অনেক কিছুই করতে পারত। আমার উদাহরণ টেনে আইসিসির এই প্রটোকলের বিপক্ষে লড়তে পারত।’ শারীরিক কারণে কনুই বাঁকা করার নিয়মে কিছুটা শিথিল করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
লেভেল টু কোচিং কোর্স শেষ করেছেন সাঈদ আজমল। আগামী দিনগুলোয় এ পেশাতেই তিনি থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment