ভারতের হায়দরাবাদের রামুজি ফিল্ম সিটিতে এখন রাশেদ রাহা পরিচালিত ‘নোলক’ ছবির শুটিং করছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সেখানে যাওয়ার আগে গত ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসকে পাঠানো তালাকের নোটিশে তিনি স্বাক্ষর করেন। গতকাল সোমবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে শাকিব খান বললেন, ‘আমি স্বাক্ষর করে দিয়ে এসেছি। এখন থেকে এ বিষয়ে যা কিছু বলার, আমার আইনজীবী বলবেন। আমি এখন শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। এরই মধ্যে নতুন কয়েকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। প্রযোজক আর পরিচালকদের এই কাজগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করে দিতে চাই।’
ছেলে আব্রাম খান জয় প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘সে তো আমারই সন্তান। আমার সন্তানের ভালোর জন্য যা যা করার দরকার, আমি অবশ্যই তা করব।’
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় অপু বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তিনি তখন পর্যন্ত তালাকের নোটিশ হাতে পাননি। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘দুপুরে আমি বাবুকে (আব্রাম খান) খাওয়াচ্ছিলাম। হঠাৎ টেলিভিশনের স্ক্রলে খবরটি আমার নজরে আসে। এরপর মুঠোফোনে পরিচিতজনের কয়েকটি খুদে বার্তাও পেয়েছি। বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে।’
তালাকের নোটিশ পাঠানোর বিষয়টা অপুর কাছে এখনো অবিশ্বাস্য। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। গত মাসে ছেলেকে রেখে চিকিত্সা নিতে ভারতে যাওয়ার কারণে শাকিব খানের সঙ্গে আমার ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় সে হয়তো রাগ হয়ে কিছু একটা করে থাকতে পারে। কিন্তু তার কয়েক দিনের মাথায় আমার সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যায়। আর এখন পর্যন্ত তা রয়েছে।’
ভুল বোঝাবুঝির ঘটনার কয়েক দিন পর অপু ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাসায় যান। অপু বলেন, ‘শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে অনেক আন্তরিকভাবেই কথা হয়েছে। বাবু (আব্রাম খান) তার বাবার (শাকিব) সঙ্গে রাতে ঘুমিয়েছে। তখন শাকিবকে একজন দায়িত্ববান বাবা মনে হয়েছে আমার কাছে। মূলত তখন থেকেই স্ত্রী-সন্তানের প্রতি শাকিবের মধ্যে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখেছি। এখন এসব খবর তো আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।’
এর আগে দুপুরে শাকিব খানের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, গত ২২ নভেম্বর শাকিব খান তাঁর চেম্বারে যান। অপুকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কাছে আইনি পরামর্শ নেন। এরপর শাকিবের পক্ষ থেকে ওই দিনই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়রের কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় ওই তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়। এই তালাক কার্যকর হবে নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে তিন মাস পর। এই আইনজীবী বলেন, বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা অপুকে পরিশোধ করবেন বলে শাকিব তাঁকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণপোষণের যাবতীয় খরচসহ দায়দায়িত্ব নিজে বহন করবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। এ বছর ১০ এপ্রিল বিকেলে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে ও সন্তানের ব্যাপারে প্রথম মুখ খোলেন অপু। এরপর শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়।
- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment