‘এইচ’ গ্রুপে শীর্ষস্থান টটেনহামের। বরুসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল এক অর্থে রিয়ালের জন্য নিয়ম-রক্ষারই। তবে রোনালদোর রেকর্ডটা হবে কি হবে না, এমন একটা উদ্বেগ কাজ করছিলই। তবে সেই উদ্বেগ প্রশমিত করতে খুব দেরি করেননি পর্তুগিজ তারকা। ম্যাচের ১২ মিনিটেই বক্সের ঠিক মাথায় দাঁড়িয়ে ডান পায়ের শটে নিজের রেকর্ডটা নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি। এই গোলে লিওনেল মেসির সঙ্গেও ব্র্যাকেটবন্দী হলেন রোনালদো। মেসির মতো রোনালদোরও চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে গোলের সংখ্যা—৬০। তবে আজই রোনালদো এগিয়ে যেতেই পারতেন। তাঁর একটি গোল যে অফসাইডের কারণ দেখিয়ে বাতিল করেন রেফারি। যদিও টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গেছে অবিচারের শিকারই হয়েছেন পর্তুগাল-তারকা।
রোনালদো রেকর্ড করেছেন বলে তাঁর নামটাই আগে নিতে হচ্ছে। যদিও রিয়ালকে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে দিয়েছিলেন বোর্হা মায়োরাল। রোনালদোর গোলটিতে রিয়াল এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে।স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মায়োরাল আজ চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম গোলটি পেলেন। করিম বেনজেমাকে বসিয়ে তাঁকে নামিয়ে কোচ জিদান যে খুব ভুল করেননি, মায়োরাল এটি আজ প্রমাণ করে দিয়েছেন। কেবল বেনজেমা নন, জিদান আজ সাইড বেঞ্চ বসিয়ে রেখেছিলেন মার্সেলো, টনি ক্রুজ ও লুকা মডরিচকেও।
একে তো দ্বিতীয় পর্ব আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, তার ওপর দুই গোলের লিড—রিয়ালের খেলোয়াড়েরা বোধ হয় রাশটা একটু বেশিই আলগা করে দিয়েছিলেন। তবে বরুসিয়াকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। নির্দিষ্ট করে কৃতিত্ব দিতে হবে পিয়েরে-এমেরিক আয়োবামেয়াংকেও। তাঁর ৪৩ আর ৪৯ মিনিটেই দুই গোলেই ম্যাচে ফিরেছিল বরুসিয়া। ২-২ করে ফেলে রিয়াল-সমর্থকদের মনে শঙ্কা ঝড় উঠিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচের ৮১ মিনিটে লুকাস ভাসকেজের গোলে স্বস্তি ফেরে সমর্থকদের। রিয়ালও বেঁচে যায় মৌসুমে টানা তৃতীয় ড্রয়ের হাত থেকে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ-পর্বে একটি জয়েরও মুখ না দেখা বরুসিয়া আজ রিয়ালের বিপক্ষে লড়াইটাকে পুঁজি করতে পারে ইউরোপা লিগের জন্য। তবে ৩-২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেও কাগওয়া যদি একটি দারুণ সুযোগ বারের ওপর দিয়ে মেরে নষ্ট না করতেন। গোল-গড়ে অ্যাপয়েল নিকোশিয়াকে পেছনে ফেলে গ্রুপে তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগের জায়গাটা যে নিশ্চিত হওয়ার পরেও কাগওয়ার জন্য আফসোস থাকবেই জার্মান ক্লাবটির।
ম্যাচটা জিতলেও কপালে ভাঁজ নিয়েই মাদ্রিদ ফিরবেন জিদান। আজই পেশিতে চোট পেয়ে কয়েক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন রাফায়েল ভারানে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস, দানি কারভাহাল ও কাসেমিরো। সেভিয়ার বিপক্ষে লা লিগায় শনিবারের ম্যাচে দল কীভাবে মাঠে নামাবেন, সেটি নিয়ে কিন্তু বড় দুশ্চিন্তাতেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
Comments
Post a Comment