Skip to main content

সেই হবে সত্যিকারের সঙ্গী

সত্যিকারের ভালোবাসা কে না চায়? চায় মনের মতো সঙ্গী। প্রতিকূলতায় যে সঙ্গী তার জন্য লড়বে, বিপদে থাকবে পাশে। যার হাত ধরে নির্ভয়ে পথ হাঁটা যায়, কল্পনায় সেই আদর্শ সঙ্গীর একটা রূপ মনে ঠিক করে নেয়। কঠিন সময়েও যে হাত কখনো ছুটে যাবে না। যে সঙ্গী কথা শুনবে, দুয়ার খুলে অপেক্ষায় থাকবে। কল্পনার সেই ভবিষ্যতে সঙ্গীর সম্পর্ক কেমন হবে, অনুভূতিসহ সবকিছু মিলিয়ে একটা চিত্র মনে তৈরি হয়। চাওয়া-পাওয়ার, দিকনির্দেশনা ও প্রত্যাশা বাড়ে। কিন্তু কোথায় সেই আদর্শ সঙ্গী?
সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই সময় পার করেন। যাওবা সঙ্গী মেলে, অনেক ক্ষেত্রেই মনের মতো করে পাওয়া যায় না। কল্পনার সঙ্গে অনেক ফারাক থাকে। ফলে মেনে নিতে পারেন না। সম্পর্ক ভেঙে যায়। যাঁর অস্তিত্ব নেই, সেই আদর্শ সঙ্গীকে খুঁজতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সঠিক সঙ্গীর মধ্যে নিঃস্বার্থ, যত্নশীল, স্নেহপূর্ণ ও সহজাত গুণাবলি থাকবে—এমন বিষয়টি নিজেকে মনে করিয়ে দেওয়া ভালো। কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকতে নাও পারে। ভালোবাসার মানুষটি নিখুঁত হবে—এমন প্রত্যাশা রাখা ঠিক নয়। একেবারে নিখুঁত সঙ্গী পাওয়ার জন্য নিজের ওপর জোর খাটানো ঠিক নয়। কল্পনার চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গীর সবকিছুতেই মিল থাকবে তা নয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেকে অপেক্ষা করেন জীবনে এমন মানুষ আসবে, যে তার মূল্যবোধকে প্রতি মুহূর্তে ধরে রাখবে, প্রতিদিন মায়ের কাছে ফোন করে খোঁজখবর নেবে, অনেক সময় দেবে, স্বপ্নের কথা বলবে। কিন্তু সব গুণ কি সবার থাকে? 
তাই সত্যিকারের সঙ্গী, মানে নিখুঁত ও তালিকায় থাকা সব মানদণ্ড পূরণ করার ব্যক্তি নয়। সত্যিকারের সঙ্গী সব সময় পরিপাটি নাও হতে পারে। অগোছালো কিন্তু সুন্দর ভালোবাসার মানুষ হতে পারে। পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে যে মানুষ আঘাত দেবে না, বরং অতীতকে ভুলে যেতে সাহায্য করবে, সে–ই প্রকৃত সঙ্গী। চলচ্চিত্রে চরিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে শতভাগ নিখুঁত সঙ্গী চাওয়া ঠিক নয়। সত্যিকারের সঙ্গী চলচ্চিত্রের কাল্পনিক চরিত্রের সঙ্গে মিলবে না। বরং মানানসই বা পূর্ণাঙ্গ হয়ে ওঠার চেষ্টা যে করে সে প্রকৃত সঙ্গী হয়ে ওঠে।
প্রকৃত ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে হতাশা, ঝগড়াঝাঁটি, বিতর্ক, আপস, বিরক্তি এবং ভুল বোঝাবুঝি ঘটতে পারে। মনে রাখতে হবে, প্রতিমুহূর্তে স্বার্থহীনভাবে চিন্তা করা দুজনের মধ্যে সম্ভব হয় না। প্রকৃত আদর্শ মানুষ কেউই নয়, এ কথা মেনে নিতে হবে। প্রত্যাশা আর চাওয়া-পাওয়ার কল্পনাতে বাঁধ দিতে পারলেই সুসম্পর্ক থাকবে। পূর্ণাঙ্গ নিখুঁত মানুষ খোঁজার আশা বাদ দিয়ে যে আপনার অসম্পূর্ণতাকে সম্পূর্ণ করতে পারবে, সেই হবে সত্যিকারের সঙ্গী। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট।

Comments

Popular posts from this blog

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...