Skip to main content

ভালোবাসার কত ধরন!

আমরা জানি, আমাদের সবার ভালোবাসার ধরন একই রকম না। কেউ অনেক চঞ্চল, তিনি চান সবাইকে জানিয়ে দিতে তাঁর ভালোবাসার কথা, কেউ অনেক চুপচাপ ও নীরবে ভালোবেসে যান। কেউ চান ভালোবাসাটা নিজেদের মাঝেই থাকুক আর কেউ না জানুন। কিন্তু একজন মানুষের সঙ্গে যখন একই ছাদের নিচে থাকা শুরু হয়, তখন কিংবা একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই ভালোবাসার রূপ বদলাতে শুরু করে। আপনার জন্য ক্যানডি কিনে আনা ছেলেটি এখন আপনার জন্য আর ক্যানডি কিনবে না বা টিফিনের টাকা জমিয়ে যেই মেয়েটি আপনার পছন্দের ঘড়ি কিনে দিয়েছিলো, সেই মেয়েটির ভালোবাসার ধরনও কিন্তু পাল্টে যায়।
তাহলে কি একটা সময় পর আর ভালোবাসা থাকে না? অবশ্যই থাকে, তবে এই ভালোবাসার রূপ পাল্টে যায়। ভালোবাসার এই রূপ পাল্টে যাওয়াটা অনেকের কাছেই ধাঁধার মতো। অনেকেই ভাবতে শুরু করি, সে আমাকে আর আগের মতো ভালোবাসে না। সে আর আগের মতো নেই। এসব ক্ষেত্রে আসলে কি ভালোবাসা হারিয়ে যায় নাকি সেটি আরও দৃঢ় হয়? সেই সম্পর্কে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৈশোর কিংবা তরুণ বয়সের প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্কে আবেগের পরিমাণ বেশি থাকে, তখন সম্পর্কের জন্য উভয়েই সর্বোচ্চ করতে চায়। কিন্তু যখন আমাদের মাঝে পরিপক্বতা আসে তখন আমাদের ভালোবাসার আবেগের সঙ্গে আরও অনেক কিছু যোগ হয়। যেমন: মমতা, দায়িত্ববোধ, শ্রদ্ধা। তখন হয়তো ছেলেবেলার পাগলামিগুলো কেউ করে না কিন্তু এমন অনেক কিছুই করে, যা আসলেই একটা সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যেহেতু আমরা ‘আকাশের চাঁদ এনে দেব’ বা ‘তোমার জন্য জীবন দিয়ে দেব’ ধরনের ভালোবাসায় অভ্যস্ত হয়ে যাই, তাই আমাদের চোখ তখন অনেক ভালো কিছুও এড়িয়ে যায়।
মোহের সময়
এই সময়টা তখনকার, যখন একজন মানুষকে নতুনভাবে চেনা হয়। তাঁর সবকিছুই ভালো লাগবে তখন আপনার। আপনি তখন আপনার সবকিছু ত্যাগ করতে রাজি থাকবেন শুধু ওই মানুষটার জন্য। কিন্তু এটা খুব কম সময়ের জন্য। কেননা, আপনি তখনো আপনার ভালোবাসার মানুষের ত্রুটি বা খারাপ দিকগুলো জানেন না। জানলেও শুধু ভালো দিকটাই চোখে পড়ে। বলা হয়, এটা যেকোনো সম্পর্কের সবচেয়ে সুন্দর সময়।
দায়িত্ব
এই সময়টা তখন আসে, যখন ভালোবাসার মানুষকে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপনি ঠিক করে ফেলেন এই মানুষই সে, যার সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে চান। এই সময় অনেকেই দায়িত্বের চাপ নিতে পারে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সময়ে সম্পর্কের ফাটল ধরে। কিংবা আপনি যদি বিবাহিত হন সে ক্ষেত্রে এটা হচ্ছে সেই সময়, যখন আপনারা ভাবছেন আপনাদের একটি সন্তান হোক কিংবা আপনারা খুব স্থায়ী কিছু করার জন্য তৈরি হচ্ছেন। এই সময়টা যেহেতু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়িত্বটাকে অনেক বেশি বড় করে দেখা হয়, যেটায় ভালোবাসা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। মূলত ভালোবাসা থাকে বলেই কিন্তু আপনি বা আপনার সঙ্গী অনেক বেশি গুরুত্বের সঙ্গে সময়টা পার করতে চান।
দ্বিধা
অনেক দিন ধরে পেতে থাকা অবহেলা বা দায়িত্বের চাপে পড়া মনটা এই সময় অস্থির ও দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে। ভালোবাসার সম্পর্কে থাকা দুজন মানুষ এই সময় ভাবতে থাকেন, ‘আমি এই মানুষকে ভালোবাসিনি’ বা ‘সে অনেক বদলে গিয়েছে’। আবার যাঁরা সংসারে আছেন, তাঁরা ভাবতে পারেন, ‘শুধু সংসারের জন্য এত কিছু করলাম তাও আমি কী পেলাম’ বা ‘নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছি কিন্তু আমার জন্য কি সে ভাবে?’ এই সময়টায় ভালোবাসা প্রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কিন্তু অনেকেই ভুলে যান, এটা সম্পর্কের ব্যাপার—এখানে দুজনেই ছাড় দেবেন। অনেকেই এই সময় বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তবে যাঁরা একটু স্থির থেকে সম্পর্কটা চালিয়ে নিয়ে যান, তাঁরাই বুঝতে পারেন এই সময়ের ভালোবাসা এমনই হবে। কেননা ভালোবাসা না থাকলে কেউ ওসব প্রশ্নের কথা ভাবতেন না।
স্থিরতা এবং সহমর্মিতা
এই সময়টায় কমবেশি সবাই বুঝতে শুরু করেন সেই ক্লাসের পাশের চেয়ারে বসা ছেলেটা জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যেই মেয়েটির মন খারাপ দেখে সাইকেল চালিয়ে তার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থাকা হতো, তাকে আসলেও এতটা বছর পরও কত ভালোবাসেন। কিন্তু এই অনুভূতি সবার হয় না, কেননা সবাই এই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান না বা পারেন না। বুঝতে পারেন ভালোবাসাটা সব সময়ই ছিল, কেবল রূপ পাল্টেছে। এর বাইরে আর কিছুই নয়।

Comments

Popular posts from this blog

রোনালদো জিতবেন ব্যালন ডি’অর, নাইকির আর সইছে না তর!

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান। কে জিতবেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আগেই জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর-জয়ীর নাম ফাঁস হয়ে গেছে! ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকিও জানে সেই বিজয়ীর নাম। আর তাই এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়টির অর্জনের স্মারক হিসেবে নাইকি সীমিতসংখ্যক বুট তৈরি করেছে, যার নাম ‘কুইন্টো ট্রাইয়ুনফো’, মানে ‘পঞ্চম সাফল্যে বিশেষ সংস্করণ’। বোঝাই যাচ্ছে, পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে। লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শোকেসে ট্রফির সংখ্যা যাদের জানা, তাদের এটা সহজেই বোঝার কথা। মেসি ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদো আজ আইফেল টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে ডেভিড জিনোলার হাত থেকে ট্রফিটা পেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে বসবেন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম কিন্তু আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, এবার ট্রফিটা রোনালদোর হাতেই উঠছে। নাইকির বিশেষ সংস্করণের বুট সংবাদমাধ্যমের এই নিদানের ভিত্তিকে আরও শক্ত করল। নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে রোনালদোর। রিয়াল মা...

Category «পরকিয়া চোদন কাহিনী

Bangla choti golpo রবির বয়স তখন ১৫ যখন সে কমলা আর ওর স্বামীর সাথে ওদের গ্রামের বাড়িতে থাকতে আসে।রবির বাবা-মা দুজনেই একটা দুর্ঘটনাতে মারা যান।ওদের বাড়িতে আগুন লাগে ,guda agun সেই আগুনে ওদের গোটা বাড়ি আর ওনারা জ্বলে ছাই হয়ে যান।কমলার বোন ছিল রবির মা।একমাত্র পরিবার বলতে কমলা choti মাসিই,তাই সে ওদের কাছে চলে আসে।jotil bangla choti শুরুর দিকে রবি একদম চুপচাপ থাকত,নিজের মনেই খেলা করত, কারো সাথে সেমন কথা বলতো না।পরিবারের শোকে তো এরকমই হওয়ার কথা,নিজের বাড়ির কথা হয়তো ওর খুব মনে পড়তো। রবির ১৭ বছর এর জন্মদিনের এক সপ্তাহের মাথায় কমলার স্বামী রাকেশ মারা যায়।মাঠে লাঙ্গল চালাতে গিয়ে একটা আঘাতে ওনার মৃত্যু হয়।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে প্রাণ হারায়।কমলা তখন ৩২ বছরের যুবতি বিধবা, এমনকি রবির মন থেকেও আগের শোকটা মুছে যায়নি। কমলার ভাগ্য ভালো যে রবি তখন তার কাছে ছিলো তাই তাকে তার জমি জায়গা হারাতে হয়নি।তার গড়ন ভালো ছিলো,চাষেবাসে মনও তার ছিলো,সারা বছরের ফসলে তাদের গুজরান হয়ে যেত।বাড়ন্ত বয়েসে খাটাখাটুনির জন্য আরো পেটানো হয়ে যায় রবির শরীর,পেশিতে দৃঢ় তার বাহু।আঠারো বছর পেরিয়ে তাগড...

কী ঘটেছিল খেলার শেষ মুহূর্তে?

ম্যাচের শেষ ওভারে পরপর দুটি বাউন্সার। অথচ নো বল দেননি আম্পায়ার! পরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কাছে জানা গেল, লেগ আম্পায়ার নো দিতে গিয়েও দেননি! ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাননি। বাংলাদেশ দল এটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ আম্পায়ারিং হিসেবে ধরে নিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো সতীর্থদের মাঠ থেকেই বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব বেশি দেখা যায় না। কী এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়ে পড়লেন! টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেই সময়ের একটা চিত্রনাট্য দাঁড় করিয়েছেন এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করা  প্রথম আলো র প্রতিনিধি  রানা আব্বাস ... মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে):  স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...। (দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।) থিসারা (মাহমুদউল্লাহ...